নিজস্ব প্রতিবেদন: কলকাতা যেন এখন 'সুনীলময়'। এশিয়ান কাপের বাছাই পর্বে দেশের জার্সিতে যুবভারতীতে মাতিয়ে দিয়েছেন 'ক্যাপ্টেন ফ্যান্টাসটিক'। সুনীল ছেত্রীর একটাই আক্ষেপ, 'ডার্বি অনেক কম খেলেছি। প্রথম কয়েক বছর মোহনবাগানে সেভাবে খেলার সুযোগ পাইনি। পরে যখন ফিরে এলাম, তখন মোহনবাগানে ১ বছর আর ইস্টবেঙ্গলে ১ বছর ছিলাম। আমি ভাগ্যবান যে, ২ দলের হয়েই খেলেছি'। শুধু তাই নয়,  এখনও ডার্বিতে হ্যাট্রটিক করারও স্বপ্ন দেখেন তিনি!


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


এএফসি এশিয়ান কাপের (AFC Asian Cup) মূল পর্বে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই পৌঁছে গিয়েছে সুনীল ছেত্রীর (Sunil Chhetri) ভারত। কলকাতার দর্শকরা যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে অসাধারণ তিনটি ম্যাচ দেখেছেন। প্রথম ম্যাচে ভারত ২-০ গোলে হারিয়েছে কম্বোডিয়াকে। দ্বিতীয় ম্যাচেও আফগানিস্তানের বিরুদ্ধেও এসেছে ২-১ ব্যবধানে জয়। নিয়মরক্ষার ম্যাচেও ইগর স্টিম্যাচের শিষ্যরা ৪-০ গোলে গুঁড়িয়ে দিয়েছে হংকংকে। আর প্রতি ম্যাচেই গোল এসেছে  সুনীলের পা থেকে।


আরও পড়ুন: Rohit Sharma: স্টোকসদের দেশে উড়ে যাওয়ার আগে 'হিটম্যান' চুটিয়ে খেললেন গলি ক্রিকেট! রইল ভিডিও


হংকং ম্যাচের পর 'গোলমেশিন' সুনীল ছেত্রী (Sunil Chhetri) একান্ত সাক্ষাৎকার নিলেন জি ২৪ ঘণ্টার এডিটর গৌতম ভট্টাচার্য। ভারত অধিনায়কের অকপট স্বীকারোক্তি, 'এটা বললে ভুল হবে না যে, দর্শকদের জন্যই ভালো খেলতে পেরেছি। প্রথম ম্যাচের পর শুনেছিলাম, টিকিট নিয়ে সমস্যা হয়েছে।  হয়তো দর্শকরা আসবেন না। প্রথম ম্যাচে আমরা যেভাবে খেলেছি আর পরে দুটি ম্যাচে যে অভ্যর্থনা পেয়েছি, তা অসাধারণ'।



সালটা ২০০২। বয়স তখন মাত্র ১৭। এই কলকাতা থেকেই ফুটবল জীবন শুরু সুনীল ছেত্রীর। প্রথম ক্লাব মোহনবাগান। ভাইচুং, ব্যারেটোদের পাশে খেলার অভিজ্ঞতা কেমন ছিল? সুনীল বললেন, 'মাঠ ও মাঠের বাইরে ওদের পর্যবেক্ষণ করতাম। আমি কখনও কোন অ্যাকাডেমিতে খেলিনি। দিল্লি থেকে সোজা কলকাতায় চলে এসেছিলাম। ফলে খেলার খুঁটিনাটি ব্যাপারগুলি বোঝা আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ ছিল'। সঙ্গে যোগ করলেন, 'ভাইচুংয়ের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছি। নতুনদের খুব উৎসাহ দিত। আমাদের সঙ্গে যে ব্যবহার করত, সেটা দুর্দান্ত। এখন আমি জুনিয়রদের সঙ্গে আমার ব্যবহারে সেই জিনিসটা আনার চেষ্টা করি'।