নিজস্ব প্রতিবেদন: 'এক রাজ্য, এক ভোট' নিয়ে স্বস্তিতে বিসিসিআই।  লোধার এই সংস্কার খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট। এর জেরে স্বস্তিতে বেশ কয়েকটি রাজ্যের ক্রিকেট সংস্থা। মুম্বই সহ ৬ টি সংস্থার পূর্ণ সদস্যপদ বহাল থাকল।  কুলিং পিরিয়ড নিয়েও বিসিসিআইয়ের-এর দাবি মানল দেশের শীর্ষ আদালত।  তিন নয়, ছ' বছর পর কুলিংয়ে যেতে পারবেন কর্তারা। প্রসঙ্গত, লোধা সংস্কারে বলা হয়েছিল ৩ বছর পর কর্তাদের কুলিংয়ে যেতে হবে। 



COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 


 


 



দেশের ক্রিকেট কর্তাদের বয়সসীমা থেকে শুরু করে, তাঁদের পদের মেয়াদ ও ক্রিকেটের সার্বিক উন্নয়নের জন্য ঢালাও পরিবর্তনের সুপারিশ করা হয়েছিল। সত্তরের বেশি বয়সের কর্তাদের ক্রিকেট প্রশাসনে যেমন থাকা যাবে না, তেমনই তিন বছর অন্তর তিন বছর সাময়িক বিশ্রামে যাওয়ার সুপারিশ করেছিল লোধা কমিশন। কিন্তু বৃহস্পতিবারের শুনানিতে এই মামলার বিচারপতিরা তিন বছর অন্তর কর্তাদের সাময়িক বিশ্রামে যাওয়ার (কুলিং অফ পিরিয়ড) লোধা কমিশনের সুপারিশ খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। দেশের শীর্ষ আদালতের নির্দেশে এখন থেকে তিন বছরের পরিবর্তে ছ’বছর অন্তর ‘কুলিং অফ পিরিয়ড’ বা বিশ্রামে যেতে হবে বোর্ডের কর্মকর্তাদের। প্রসঙ্গত, এ ক্ষেত্রে বিসিসিআই-এর আর্জি ছিল, বোর্ডের কর্মকর্তাদের বাধ্যতামূলক কুলিং অফ পিরিয়ড-এর মেয়াদ বাড়িয়ে ৯ বছর করার।


গত ৫ জুলাই সুপ্রিম কোর্ট এই মামলা দু’সপ্তাহের জন্য স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। ওই দিনই শুনানিতে এই মামলার বিচারপতিরা মন্তব্য করেছিলেন, তিন বছর অন্তর কর্তাদের সাময়িক বিশ্রামে যাওয়ার সুপারিশের প্রয়োজন নাও হতে পারে। শুধু তাই নয়, এক রাজ্য এক ভোটের বিষয়টিও নতুন করে বিবেচনা করার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু এর পরই চূড়ান্ত রায়দান আরও দু’সপ্তাহেরও বেশি পিছিয়ে যায়। আজ এই মামলার রায়ের উপর নির্ভর করছিল ভারতীয় ক্রিকেট প্রশাসনের ভবিষ্যত। আজকের এই রায়ে আগের সিদ্ধান্তে অবিচল থেকে এক রাজ্য এক ভোট আর ‘কুলিং অফ পিরিয়ড’— এই দুই ইস্যুতেই লোধা কমিশনের সুপারিশ খারিজ করে দিলেন মামলার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা। তবে লোধা কমিশনের সুপারিশ মেনে সত্তরের বেশি বয়সের কর্তাদের ক্রিকেট প্রশাসন থেকে অবসরের বিষয়টিকে মান্যতা দিয়েছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত।