নিজস্ব প্রতিবেদন: ওয়াংখেড়ে টেস্টের পর ইতিহাসের পাতায় ঢুকে পড়েছেন নিউজিল্যান্ডের (New Zealand) আজাজ প্যাটেল (Ajaz Patel)। জন্মভূমিতে ১০ উইকেট নিয়ে জিম লেকার (Jim Lekar) আর অনিল কুম্বলের (Anil Kumble) সঙ্গে একই রেকর্ড বুকে জায়গা বাঁহাতি কিউয়ি স্পিনার। কিন্তু এই আজাজ এখনও ভুলতে পারেননি প্রায় ৩ বছর আগের এক ভয়াবহ দুর্ঘটনার কথা। যে ভয় তাঁকে তাড়া করে বেড়িয়েছে অনেকদিন ধরে। সেই ঘটনার সন্ত্রাসবাদী হামলাকে ঘিরে। ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে হামলার (Christchurch mosque attack) সেই ভয়াবহতা তাঁকে এখনও আতঙ্কিত করে তোলে। সেটা অকপটে স্বীকার করে নিলেন আজাজ। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সেই হামলার প্রসঙ্গ নিয়ে আজাজ বলেন, "সেই ঘটনার কিছুক্ষণ আগেই নামাজ পড়ে ঘরে ফিরেছিলাম। ঘরে ফিরতেই টিভি চালিয়ে দেখি মসজিদে জঙ্গি হামলা হয়েছে। সেই ঘটনার ব্যাপক প্রভাব আমাদের মুসলিম সম্প্রদায়ের উপর পড়েছিল। তবে আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী ও আমাদের সম্প্রদায় সেই ঘটনার পর একজোট হয়ে গিয়েছিলাম। সবাই আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছিল। তাই কঠিন পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছিলাম।" 


আরও পড়ুন: Ajaz Patel: অশ্বিন নিলেন আজাজের সাক্ষাৎকার! কিউয়ি স্পিনারকে বিশেষ উপহার বিরাটদের



 


২০১৯ সালের ১৫ মার্চ। দিনটা ছিল শুক্রবার। নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের (Christchurch) মসজিদে ঘটেছিল কুখ্যাত জঙ্গি হামলা। সেই ভয়ঙ্কর ঘটনা এখনও আজাজের স্মৃতিতে টাটকা। সেখানকার দুটো মসজিদে পরপর গুলি চালায় কিছু জঙ্গিরা। সরকারি তথ্য অনুসারে সেই ঘটনায় ৫১ জন প্রাণ হারিয়েছিলেন। ৪০ জন গুরুতর জখম হন। তবে কপাল জোরে প্রাণে বেঁচে যান আজাজ। জঙ্গি হামলার কয়েক ঘণ্টা আগেই মসজিদ থেকে বাড়ি ফেরেন তিনি। তারপরই শোনেন ক্রাইস্টচার্চের ভয়াবহ ঘটনার কথা। এখনও সেই ঘটনা নিয়ে আলোচনা হলেই ভয়ে আঁতকে ওঠেন তিনি। 


তবে সেই ঘটনার পর নিউজিল্যান্ডের মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষের মনের মধ্যে সেই সময় ভীতি সঞ্চার করেছিল। কিন্তু সেই সময় নিউজিল্যান্ডের অন্য ধর্মের মানুষরা তাঁদের পাশে দাঁড়ান। সাহস জোগান। দেশের প্রধানমন্ত্রী এবং খেলোয়াড়রাও প্রতিবাদে গর্জে ওঠেন। আর এই ভালবাসার জোরেই ভয় কেটে যায় আজাজ ও তাঁর পরিবারের। নিউজিল্যান্ডের স্থানীয় মানুষরা যে ভাবে ভালবাসা ও আশ্বাস জুগিয়েছেন তাতে মুগ্ধ আজাজ। 


তিনি শেষে যোগ করেন, "আমার মা বোরখা পরে বাড়ির বাইরে গেলে কেউ কিছু বলে না। জঙ্গি হামলার সময়, আমাদের বাড়ি নতুন ভাবে তৈরি হচ্ছিল। কেউ কোনও টুঁ শব্দ করেনি। আমরা সবসময় দেখতে যেতে পারতাম না। কিন্তু প্রতিবেশিরা খেয়াল রাখত। জঙ্গি হামলার সময় আমরা ওই বাড়িতে তখন থাকতাম না। কিন্তু প্রতিবেশিরা ওই বাড়ির সিঁড়িতে একটা চারা গাছ পুঁতে বোঝাতো এখানে মানুষ বাস করে। তারা ভীষণ ভাবে সেই সময় আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছিল। সব ধর্মের মানুষ এক হয়ে গিয়েছিল ওই ঘটনার পর।" 


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)