নিজস্ব প্রতিবেদন: আসন্ন অ্যাশেজের (The Ashes) আগে প্রাণে বাঁচলেন বেন স্টোকস (Ben Stokes)। সেটা নিজেই জানিয়েছেন জো রুটের (Joe Root) দলের এই অলরাউন্ডার। চোখে কার্যত অন্ধকার দেখছিলেন। রীতিমতো কষ্ট হচ্ছিল শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে। কথা পর্যন্ত বলতে পারছিলেন না। নিজের ঘরে একা আটকে থাকা স্টোকসের মনে হয়েছিল, সব বোধহয় শেষ! কার্যত মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এলেন তিনি। আর সেই ঘটনা একটি কাগজে নিজের কলামেই লিখেছেন স্টোকস। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কি ঘটেছিল তাঁর সঙ্গে? জানা গিয়েছে গলায় ওষুধ আটকে গিয়েছিল তাঁর। সেখান থেকেই যত বিপত্তি। মৃত্যুর মুখ থেকেই প্রায় ফিরে আসা ইংল্যান্ডের ক্রিকেটারের। ৮ ডিসেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে অ্যাশেজ সিরিজ। উত্তেজক এই সিরিজ অস্ট্রেলিয়ার ঘরের মাঠে এ বার খেলবে ইংল্যান্ড। আঙুলের চোট সারিয়ে দলে ফিরে এসেছেন স্টোকস। শুধু চোটই নয়, মানসিক স্বাস্থ্যের কারণেও ক্রিকেট থেকে বেশ কিছুদিন দূরে ছিলেন তিনি। এই অলরাউন্ডারের উপর অনেকটাই নির্ভর করবে টিমের সাফল্য। আর সেই স্টোকস হোটেলে নিজের রুমে প্রায় মারা যাচ্ছিলেন!  


আরও পড়ুন: INDvsNZ: একাধিক নজির গড়া Ravichandran Ashwin-কে প্রকৃত ম্যাচ উইনার বললেন Rahul Dravid



ডেইলি মেইলে নিজের কলামে সেই ঘটনা জানিয়েছে তারকা অলরাউন্ডার স্টোকস। তিনি লিখেছেন, 'তখন নিজের ঘরে একা ছিলাম। ওষুধটা গলায় আটকে গিয়েছিল। যতক্ষণ পর্যন্ত ওষুধটা বের হয়নি, তার আগে পর্যন্ত মনে হচ্ছিল আমি শেষ! পরে গলাতেই সেটা আস্তে আস্তে গলতে শুরু করে। নিশ্বাসই নিতে পারছিলাম না। মনে হচ্ছিল আমার মুখে আগুন লেগেছে। বিস্তারিত ঘটনা বলব না। শুধু এটুকুই জানিয়ে রাখি যে, গত রবিবার আমার মুখে যত লালা দেখেছি, এমনটা জীবনে আর কখনও দেখিনি। সত্যিই অনেক ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম।' 


টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সহ বেশ কয়েকটি সিরিজ থেকে নিজের নাম তুলে নিয়েছিলেন স্টোকস। কারণ হিসাবে সেই সময় তিনি বলেছিলেন, তিনি নাকি মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। স্টোকস বলেছিলেন পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে চান তিনি। আসলে করোনার সময় জৈব সুরক্ষা বলয়ে থাকতে থাকতে মানসিক অবসাদে আক্রান্ত হয়েছিলেন স্টোকস। তবে এখন শেষ পর্যন্ত বিশ্বের অন্যতম সেরা এই অলরাউন্ডারের অবসাদ কেটেছে, তিনি এখন সুস্থ। আসন্ন অ্যাশেজে মাঠে ফিরবেন তিনি। 


সেই ট্যাবলেট ঘটনা থেকে বেঁচে আবার অনুশীলনে গিয়ে হাতে বল লেগে চোট পেয়েছেন স্টোকস। ৩০ বছর বয়সী অলরাউন্ডার লিখেছেন, 'অনুশীলনে ফিরতে পেরে ভাল লাগছিল। কিন্তু এরপর আসে ভয়ের মুহূর্ত। আমাদের ব্যাটিং কোচ জোনাথন ট্রটের ছোড়া বল যখন আমার হাতের সামনের দিকে লাগে, ব্যথায় কাতরাচ্ছিলাম। হাত নাড়াতেই পারছিলাম না। আমি তো ভেবেছিলাম হাত বুঝি ভেঙেই গেছে। সৌভাগ্য ড্রেসিংরুমে ফেরার পর ব্যথা অনেকটা কমে গিয়েছে। ফিজিওরাও নিশ্চিত করেছেন যে হাত ভাঙেনি।' 


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)