নিজস্ব প্রতিবেদন: শুরুটা যেমন, শেষটাও ঠিক একই রকম। বিশ্ব ক্রিকেটে এই নজির হাতে গোনা যে কয়েকজন ক্রিকেটারের রয়েছে অ্যালিস্টার কুক তাঁদের মধ্যে ‘নবাগত নক্ষত্র’। অস্ট্রেলিয়ার রেগিনাল ডাফ, বিশ্ব ক্রিকেটে তিনিই সর্বপ্রথম ক্রিকেটার যিনি অভিষেক (১৯০২) এবং বিদায়ী (১৯০৫)- ম্যাচেই শতরান করেছিলেন। এরপর  আরও দুই  অস্ট্রেলীয় তারকা বিল পনসফের্ড (১৯২৪- ১৯৩৪), গ্রেগ চ্যাপেলও (১৯৭০-১৯৮৪) এই বিরল কীর্তি স্থাপন করেছিলেন।  এই নজিরে নাম লিখিয়েছিলেন ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক মহম্মদ আজাহারউদ্দিনও (৮৪-২০০০)। আর এবার সেই তালিকায় পঞ্চম স্থানে নাম নথিভুক্ত করলেন ব্রিটিশ তারকা অ্যালিসটার কুক।



অভিষেক ও বিদায়ী টেস্টে শতরান করেছেন যাঁরা ...


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সাল ২০০৬। ভারতে সিরিজ খেলতে এসেছিল ব্রিটিশ দল। সঙ্গে এসেছিলেন ব্রিটিশ দলের নবাগত সদস্য অ্যালিস্টার কুক। সে বারই নাগপুরের বিধর্ভ স্টেডিয়ামে বাঁ হাতি তরুণের ব্যাট থেকে এসেছিল শতরান।  প্রথম ইনিংসে ৬০ আর দ্বিতীয় ইনিংসে ১০৪। ঠিক এক যুগ পর যেন সেই ম্যাচরই পুর্নপ্রচার দেখল ওভাল। পৌতদি সিরিজে রানের খরা কাটিয়ে রানের বন্যা এল অ্যালিস্টার কুকের  ব্যাট থেকে। প্রথম ইনিংসে ৭১ আর দ্বিতীয় ইনিংসে শতরান। একই প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে অভিষেক এবং বিদায়ী ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসেই শতরান- ব্রিটিশ ক্রিকেট তো বটেই সারা বিশ্বেও এই বিরল নজির আর কারও নেই ।


আরও পড়ুন- বিরাটকে 'স্লেজিং' করলেই বিপদ, অজিদের সতর্ক করলেন গিলক্রিস্ট


কয়েকদিন আগেই, কুক নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করে শিরোনামে এসেছিলেন ব্রিটিশ তারকা জিমি অ্যান্ডারসন। সাম্প্রতিক সময়ে প্রাক্তন অধিনায়ক যেভাবে ব্যর্থ হয়েছেন, তাতে অ্যন্ডারসনের বিদ্রূপ ছিল, “দু বছর আগেই কুকের অবসর নেওয়া উচিত ছিল”। এই শতরানের পর ‘ব্রিটিশ ক্রিকেটের বন্ড’ নামে খ্যাত জিমি-কে কুক সপাটে চড় কষালেন বলেই মত সমালোচকদের একাংশের।



প্রসঙ্গত, এই ব্রিটিশ তারকা এখনও পর্যন্ত ১৬০টি টেস্ট খেলে ১২ হাজারের ওপরে রান করেছেন। যা টেস্ট ক্রিকেটে সর্বোচ্চ রানের অধিকারীদের মধ্যে পঞ্চম। সচিন, পন্টিং, ক্যালিস, রাহুল দ্রাবিড়ের পরই জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। শতরানের বিচারে এটি তাঁর ৩৩ তম। লাল বলের ক্রিকেট ছাড়াও ৯২টি একদিনের আন্তর্জাতিকে ৫টি শতরান রয়েছে এই বাঁ হাতি ব্রিটিশ তারকার। অ্যালিস্টারের জীবনের সর্বোচ্চ স্কোর ২৯৪। অ্যাসেজে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধেই এই মাইলস্টোন গড়েছিলেন তিনি। আর সেই মাইলস্টোনে কুক নিজের নামের বিজয় কেতন প্রতিষ্ঠা করে দিয়ে গেলেন শেষ টেস্টে শতরানের ইনিংস দিয়েই।