Eden Gardens: এবার সঙ্গীতের সুরে কথা বলবে ক্রিকেট স্বর্গোদ্যানের মায়াবী আলো!
আজ থেকে ১১ বছর আগে অর্থাৎ ২০১১ সালে শেষবার ফ্লাডলাইটে বদল দেখা গিয়েছিল। ইডেনের মোট চারটি টাওয়ারে এখন মোট ৪৮৪টি এলইডি আলো। যা পিচে ৩৫০০ লাক্স (কোনও একটি নির্দিষ্ট জায়গায় আলোর পরিমাপ) আলো দেবে।
জি ২৪ ঘন্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ইডেন গার্ডেন্স (Eden Gardens), এই নামটাই যথেষ্ট। কোনও বিশেষণের প্রয়োজন নেই। ১৮৬৪ সালে তৈরি হওয়া ক্রিকেট স্টেডিয়াম, বিশ্বের সেরা ক্রিকেট স্টেডিয়ামগুলির মধ্যে অন্যতম। কলকাতার আইকনিক এই স্টেডিয়াম সময়ের চাহিদার সঙ্গে তাল মিলিয়ে নিত্যনতুন ভাবে সেজে উঠেছে। আধুনিকতার ছোঁওয়ায় ইডেন বারবার আলাদা করে নজর কেড়েছে। আর এবার ইডেনে নৈশালোকে খেলা দেখার সংজ্ঞাই বদলে যাবে। ইডেনে একেবারে অত্যধুনিক সিস্টেমের ফ্লাডলাইট বসে গেল। বঙ্গজ ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা রবির সন্ধ্যায় সেই সুখবর জানিয়ে দিল।
সিএবি সভাপতি অভিষেক ডালমিয়া ফ্লাডলাইটের ভোলবদলের প্রসঙ্গে বলেছে, 'এখন থেকে ইডেন গার্ডেন্স দেখবে সবচেয়ে অ্যাডভান্সড প্রযুক্তির লাইটিং সিস্টেম। আমরা যে এলইড লাইটগুলি বসালাম, সেগুলি চলবে ডিএমএক্স সিস্টেমে। টাওয়ার লাইটের ক্ষেত্রে এর চেয়ে আধুনিক আর কিছু নেই। আমরা সবসময় ইডেনকে বিশ্বের অন্যতম স্টেডিয়াম বানানোর জন্য কঠোর পরিশ্রম করে গিয়েছি। এই নতুন আলোর ব্যবহার নিঃসন্দেহে ইডেনের সুনাম আরও বাড়িয়ে দেবে।'
আজ থেকে ১১ বছর আগে অর্থাৎ ২০১১ সালে শেষবার ফ্লাডলাইটে বদল দেখা গিয়েছিল। ইডেনের মোট চারটি টাওয়ারে এখন মোট ৪৮৪টি এলইডি আলো। যা পিচে ৩৫০০ লাক্স (কোনও একটি নির্দিষ্ট জায়গায় আলোর পরিমাপ) আলো দেবে। মাঠের মধ্যের সার্কেলে দেবে ২৫০০ লাক্স। বাকি মাঠের জন্য ২০০০ লাক্স। ডিএমএক্স সিস্টেমে আলোগুলি সঙ্গীতে সুরে তাল মিলিয়ে জ্বলবে। তৈরি করবে গ্রাফিক্সও। আলোর দুনিয়ায় ডিএমএক্সের অর্থ ডিজিটাল মাল্টিপ্লেক্স। রিমোটের মাধ্যমে ইন্টেলিজেন্ট লাইটিং নিয়ন্ত্রিত হয়। এটি স্ট্যান্ডার্ড ডিজিটাল কমিউনিকেশন প্রোটোকল হিসাবেই ধরা হয়।