Tokyo Olympics: `বর্শা`য় সোনা ভেদ `অর্জুনে`র; অতীতে ফিরলেন `দ্রোণাচার্য` Naseem
নীরজকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত কোচিং করিয়েছেন নসীম।
নিজস্ব প্রতিবেদন: মোটাসোটা একটা ছেলে এসেছিল তাঁর কাছে। সেই ছেলের বর্শা লক্ষ্যভেদ করল অলিম্পিকে। শিষ্যের এমন সাফল্যে খুশি 'দ্রোণাচার্য' নসীম আহমেদ। Zee ২৪ ঘণ্টাকে ফোনে তিনি বলেন,'তিন রাত ধরে ঘুম আসছিল না। আজ শান্তির ঘুম হবে।'
২০১১ সালে পঞ্চকুলার তউ দেবীলাল স্পোর্টস কমপ্লেক্সে গিয়েছিলেন ১৩ বছরের নীরজ। ওই কমপ্লেক্সে সিন্থেটিক ট্র্যাক আছে। সেদিনের কথা এখনও স্পষ্ট মনে আছে কোচ নসীম আহমেদের। তিনি বলেন,'এখানে হস্টেল ও সিন্থেটিক ট্র্যাক থাকায় একসঙ্গে ৫-৬ জন কিশোর এসেছিল। ও খুব মনোযোগী ছাত্র। হাসি-মস্করা কম করত। প্রশিক্ষণ নিয়েই ব্যস্ত থাকত। খাবার-দাবারেও অনিয়ম করেনি। নোটবুকে সব লিখে রাখত।'
নীরজকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত কোচিং করিয়েছেন নসীম। তবে এখনও আগের মতোই সম্পর্কে। এশিয়ান গেমস, কমনওয়েলথে পদক জেতার পরও মাটিতেই পা আছে সোনার ছেলের। প্রাক্তন কোচ বলেন,'গুরু চ্যালার সম্পর্ক আগের মতোই আছে। ও এখনও আমার বাচ্চা। ওঁর স্বভাব, ব্যবহার এতটুকুও বদলায়নি। এখনও জুনিয়রদের সঙ্গে কথা বলে। অলিম্পিক্সে পদক জিতে আসার পরও বলতে পারি আচরণে বদল হবে না।'
বাকিদের থেকে কোথায় আলাদা নীরজ? কোচ বলেন,'ও মানসিকভাবে অত্যন্ত শক্তিশালী। আগে মাথায় ছক কষে নেয়। তারপর পরিকল্পনামাফিক কাজ করে। ও যোদ্ধা। সহজে লড়াই ছাড়ে না।'
আরও পড়ুন- Tokyo Olympics: ওজন কমাতে মাঠে পাঠিয়েছিলেন বাবা, সেই 'মোটা ছেলে'ই জিতলেন সোনা