জি ২৪ ঘন্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ভারতীয় ফুটবলের দিকপাল ব্যক্তিত্ব তুলসীদাস বলরামের (Tulsidas balaram) জীবনাবসান ঘটল। বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর। তিনি অকৃতদার ছিলেন। বলরামকে দেখভাল করতেন তাঁর ভাইঝি, ভাইপোরা। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় বাইপাসের ধারে এক নামী বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন নামী এই প্রাক্তন ফুটবলার।তুলসীদাস বলরাম মানে ভারতীয় ফুটবলের (Indian football) এক দীর্ঘ ইতিহাস। তিনি ভারতীয় ফুটবলে (Indian Football) স্বর্ণযুগের অন্যতম সেনাপতি ছিলেন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

চুনী-পিকে-বলরাম, ভারতীয় ফুটবলের ‘থ্রি মাস্কেটিয়ার্স’ নামে পরিচিত ছিলেন তাঁরা।চুনী গোস্বামী (Chuni goswami) ও পি কে বন্দ্যোপাধ্যায় (Pk Banerjee) আগেই চলে গেছেন। তাঁদের প্রিয় সতীর্থও এবার চলে গেলেন অনন্তলোকে। কয়েকদিন আগেই সন্ধ্যায় হাসপাতালে যান রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী (Sports Minister) অরূপ বিশ্বাস। তিনি গিয়ে চিকিৎসকদের সঙ্গে কথাও বলেছিলেন। কিন্তু শেষরক্ষা হল না।


আরও পড়ুন: Cheteshwar Pujara, BGT 2023: শততম টেস্ট খেলতে নামার আগে কোন স্বপ্ন পূরণের কথা জানালেন 'চে পূজারা'? জানতে পড়ুন


আরও পড়ুন: BGT 2023: ২৪ বছর আগে কুম্বলের কীর্তি মনে করিয়ে ওয়ার্নার-স্মিথদের ভয় দেখালেন ভারতের প্রাক্তন তারকা


৮৭ বছর বয়সি এই অলিম্পিয়ান বহুদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন। তিনি থাকতেন হুগলির উত্তরপাড়া বাজার স্টপ গঙ্গার ধারের একটি ফ্ল্যাটে। লিভারের অসুখে ভুগছিলেন বহুদিন ধরেই। এর আগেও তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন। সুস্থ হয়ে বাড়ি চলে গিয়েছিলেন। বছরের শেষে আবারও তাঁকে ভর্তি করতে হয়েছে। বলরাম ছিলেন চিকিৎসক ডাঃ শোভন সিনহার তত্ত্বাবধানে। বৃহস্পতিবার বেলা দুটোর সময় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।


হাসপাতালের তরফে ডাঃ পার্থ ভট্টাচার্য মেডিকেল বুলেটিন দিয়েছেন, বলরাম যে শারীরিক জটিলতা নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন, তার থেকে অনেক উন্নতি হয়েছিল। মূত্রে সংক্রমণ রয়ে গিয়েছিল। কিন্তু বোঝা যায়নি এর মধ্যেই প্রাণ বায়ু বেরিয়ে যাবে। ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের হয়ে একের পর এক সাফল্য পেয়েছেন বলরাম। তিনি খেলতেন ফরোয়ার্ডে। তাঁর গোলে লাল হলুদে ক্লাবে বহু ট্রফি ঢুকেছে। কিন্তু ইস্টবেঙ্গল কর্তারা তাঁর খোঁজ রাখেন না, এই নিয়ে আজীবন অভিমানী ছিলেন প্রাক্তন।



(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)