পাঁচ বছরের ছেলেকে খুন করল ফুটবলার, দোষ চাপল করোনার ঘাড়ে
ঘটনার নৃশংসতার বিবরণ শুনে অবাক হয়ে যান তদন্তকারী অফিসাররও।
নিজস্ব প্রতিনিধি— মর্মান্তিক ঘটনা। পাঁচ বছরের ছেলেকে খুন করে করোনার ঘাড়ে দোষ চাপাতে চেয়েছিলেন টার্কিশ ফুটবলার। শেভার তোক্তাস নামের ওই ফুটবলার তাঁর পাঁচ বছরের ছেলেকে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করেন। এর পর হাসপাতালে নিয়ে বলেন, তাঁর ছেলের শ্বাস নিতে প্রবল কষ্ট হচ্ছিল। ছেলের শরীরে করোনাভাইরাস থাবা বসিয়েছে বলে সন্দেহ প্রকাশ করেন। স্বাস্থ্যতর্মীরা তাঁর ছেলেকে দ্রুত আইসিইউতে নিয়ে যান। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। ছেলে মারা যাওয়ার কিছু দিন পরই পুলিসের কাছে গিয়ে গোটা ঘটনা স্বীকার করে নেন সেই ফুটবলার। ঘটনার নৃশংসতার বিবরণ শুনে অবাক হয়ে যান তদন্তকারী অফিসাররও।
কেন নিজের ছেলেকে খুন করলেন! তোক্তাস জানিয়েছেন, তিনি তাঁর পাঁচ বছর বয়সী ছেলেকে সহ্য করতে পারতেন না। তাই তাকে খুন করেছেন। তিনি এটাও জানিয়েছেন, তাঁর কোনও মানসিক সমস্যা নেই। সজ্ঞানেই সে ছেলেকে খুন করেছে বলে স্বীকার করে নিয়েছে। তোক্তাসের জবানবন্দি অনুসারে, তিনি প্রথমে ঘুমন্ত ছেলের মুখে বালিশ চাপা দেন। ওই অবস্থায় ১৫ মিনিট ধরে ছেলের মুখে চাপা দিয়ে রাখেন। ছেলেকে খুন করার একমাত্র কারণ, তিনি তাকে একেবারেই পছন্দ করতেন না। এমন কারণ শুনে পুলিস আধিকারিকরাও স্তম্ভিত।
আরও পড়ুন— করোনার সঙ্গে লড়াইয়ে হারল পালোয়ানও! মৃত্যু হল জনপ্রিয় সুমো কুস্তিগীরের
তোক্তাস বলেছেন, জন্মের পর থেকেই আমি ছেলেকে চাইতাম না। কেন চাইতাম না, সেটা বলতে পারব না। আমার কোনও মানসিক সমস্যা নেই। আমি ওকে চাইনি। জানা গিয়েছে, ২৩ এপ্রিল তিনি হাসপাতালে ছেলেকে নিয়ে গিয়েছিলেন। তাঁর ছেলে সেই সময় অচৈতন্য ছিল। হাসপাতালে পৌঁছনোর আগেই মারা গিয়েছিল সে। এর পর বেশ কয়েকদিন পর পুলিসের কাছে গিয়ে অপরাধের কথা স্বীকার করেন তিনি। তোক্তাসকে গ্রেফতার করেছএ পুলিস। তাঁর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে।