নিজস্ব প্রতিবেদন : আট বছর পর লিগ জিতছে আবেগে ভেসে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেই আবেগ প্রকাশ করতে গিয়ে বুধবার মোহনবাগান কর্তা টুটু বসু এমন মন্তব্য করে বসেন যা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়ে যায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ভিডিও ক্লিপিং ভাইরাল হয়ে যাওয়ার পর তোলপাড় হয়ে যায়। যা সমর্থকদের ভাবাবেগে আঘাত করেছে বলেও ফেসবুকে মন্তব্য করেছেন অনেকেই। বিতর্ক শুরু হতেই বৃহস্পতিবার প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ক্ষমা চেয়ে নিলেন বিচক্ষণ বাগান কর্তা।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


বুধবার ঘরের মাঠে মোহনবাগান মুখোমুখি হয়েছিল কলকাতা কাস্টমস-এর। অঙ্কের হিসেবে ম্যাচ জিতলেই লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়ে যাবে মোহনবাগান। বিরতিতে ২-০ গোলে এগিয়ে মোহনবাগান। লাইভ টেলিকাস্টের মাঝে বিরতিতে সম্প্রচারকারী চ্যানেলের সাংবাদিক টুটু বসুকে প্রশ্ন করেছিলেন, "মোহনবাগান তো লিগ জিততে চলেছে, কেমন লাগছে আপনার?" সকলকে চমকে দিয়ে তিনি বলেন, "সাত বছর ধরে মেয়ে হচ্ছিল, হঠাৎ একটা ছেলে হয়েছে। তাতে যেমন লাগে সে রকমই লাগছে।" আর এই মন্তব্যকে ঘিরেই জলঘোলা শুরু হয়ে যায় ফুটবল মহলে। সোশ্যাল মিডিয়াতেই সোচ্চার হয়ে ওঠেন সভ্য-সমর্থকরা। তাঁদের বেশিরভাগেরই বক্তব্য ছিল, আবেগ প্রকাশ করা ভাল, বিশেষ করে এমন একটা জয়ের পর। কিন্তু সেই আবেগ বহিঃপ্রকাশের ধরন যদি এমন হয়, সেটা মোটেই কাম্য নয়।




তাঁর বক্তব্য নিয়ে বিতর্ক শুরু হতেই বৃহস্পতিবার প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ক্ষমা চেয়ে নিলেন টুটু বসু। আবেগের কথা স্বীকার করে নিয়েই তিনি বলেন ," দীর্ঘ আট বছর লিগ জয়ের আনন্দে আমি আবেগে ভেসে গিয়েছিলাম। আর ম্যাচের বিরতিতে আবেগের বশবর্তী হয়েই কিছু কথা বলে ফেলেছিলাম। আমি কখনই কথাগুলো বলতে চাইনি। আনন্দের দিনে কাউকে আঘাত করার অভিপ্রায় আমার ছিলো না। আমার কথা আমার ভালোবাসার মানুষদের কষ্ট দিয়েছে। আমি দুঃখিত। আমি তাদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী।


কালকের লিগ জয়ের পর আবেগের মুহূর্তে, ওই প্রেক্ষাপটে বলা বক্তব্য নিয়ে আমার নিজেরই অনুশোচনা হচ্ছে। আমার বাড়িতে আমার পুত্রবধূরা আছে। নাতনি আছে। তাই কন্যাসন্তানের গুরুত্ব আমি জানি। আমার ব্যক্তিগত বিশ্বাস, পুত্র বা কন্যা সন্তান যেই হোক না কেন সবাই আমাদের পরিবারের আত্মজ। আমি আমার বক্তব্য প্রত্যাহার করছি। শেষে আবারও বলছি কোন মানুষকে আমি কষ্ট দিতে চাইনি।"



এদিকে লিগ জয়ের পুরস্কারেও গোষ্ঠী রাজনীতির ছবি মোহনবাগানে। সচিব ও পদত্যাগী প্রেসিডেন্ট আলাদা ভাবে পুরস্কৃত করলেন ফুটবলারদের। সচিব সব ফুটবলার, কোচ, সাপোর্ট স্টাফ ও মালিদের প্রত্যেককে আলাদা করে পাঁচ হাজার টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। অন্যদিকে টুটু বসু গোটা দলকে দু লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন।