নিজস্ব প্রতিনিধি : জয় আর বীরু। শোলে-র এই দুই বন্ধুর গল্প ভারতীয় চলচিত্রের জগত ছাড়িয়ে প্রভাব বিস্তার করেছিল বাস্তব জীবনেও। জয় আর বীরুর মতো বন্ধুত্বের উদাহরণ তুলে ধরা হয়েছে বারবার। বিভিন্ন ক্ষেত্রে রূপোলি পর্দার এই দুই চরিত্র যেন বন্ধুত্বের নতুন সংজ্ঞা লিখে দিয়েছে। ঠিক যেমনভাবে এবার ভারতীয় ক্রিকেট খুঁজে পেল জয়-বীরুকে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-  'বাড়ি ফিরে আয়না দেখো'! বিজয়, শিখরদের বললেন বিরাট


ইয়ে দোস্তি হাম নেহি তোরেঙ্গে...। শোলে-র এই গান শোনেননি এমন ভারতীয় খুঁজে পাওয়া মুশকিল। বন্ধুত্বের দিনে এমন গান আলাদা এক আবেশ তৈরি করে দেয়। তোরেঙ্গে দম মগর...তেরা সাথ না ছোরেঙ্গে-র মধ্যে দিয়ে বন্ধুর কাছে বন্ধুত্বের অঙ্গীকার করে বন্ধু। এমন দিনে এবার ভারতীয় ক্রিকেটের এক কিংবদন্তির কাছে বন্ধুত্বের অঙ্গীকার করলেন আরেক তারকা ক্রিকেটার। অনেক ছোট বয়স থেকে একে অপরের বন্ধু সচিন তেণ্ডুলকর ও বিনোদ কাম্বলি। একসঙ্গে ক্রিকেট খেলা, একসঙ্গে পড়াশোনা, একসঙ্গে বেড়ে ওঠা। ভারতীয় ক্রিকেটে শচীন-কাম্বলির বন্ধুত্বের কথা প্রায় সবারই জানা। কিন্তু তাঁদের বন্ধুত্বের গভীরতা ঠিক কতটা, ফ্রেন্ডশিপ ডে-তে স্পষ্ট করে দিলেন কাম্বলি। এক পোস্টে তিনি জানালেন, সচিন তাঁর কাছে ঠিক কতটা কাছের বন্ধু!



মুম্বইয়ের স্কুল ক্রিকেটে ৬৬৪ রানের রেকর্ড পার্টনারশিপ করেছিলেন সচিন-কাম্বলি। তার পর রমাকান্ত আচরেকরের কাছে একসঙ্গে ট্রেনিং শুরু করেন দুজন। দীর্ঘদিন একসঙ্গে ক্রিকেট খেলেন সচিন-কাম্বলি। তার পর দুজনের পথ অবশ্য এখটা সময় আলাদ হয়েছে। কিন্তু বন্ধত্বের সম্পর্কে কোনও প্রভাব পড়েনি। সেই ছোটবেলা থেকে আজও সচিন-কাম্বলি, দুজনেই ভাল বন্ধু। তবে কাম্বলি যতটা বেশি আবেগের বহির্প্রকাশ করে ফেলেন সচিন ততটা করেন না। এর আগেও বহুবার সচিনের সঙ্গে নিজের বন্ধুত্ব নিয়ে অনেক কথা বলেছেন কাম্বলি। ঠিক যেমনভাবে এদিন বললেন। কাম্বলি একটা পুরনো ছবি পোস্ট করে টুইটারে লিখলেন, ক্রিকেটে সর্বকালের সেরা তুমি। সেটা মাঠের কথা। আর মাঠের বাইরে তুমি জয়...আর আমি বীরু। এই ফ্রেন্ডশিপ ডে-তে তোমাকে একটাই কথা বলতে চাই, ইয়ে দোস্তি হাম নেহি ছোড়েঙ্গে...। 


 



প্রসঙ্গত, সম্প্রতি মুম্বই ক্রিকেট লিগের একটা টি-২০ দলের কোচ হয়েছেন কাম্বলি। ভারতীয় ক্রিকেটে তাঁর কামব্যাক হয়েছে।