নিজস্ব প্রতিবেদন : প্রথম টেস্টে রান পাননি। সেই আক্ষেপ সুদে-আসলে পুষিয়ে নিলেন ইডেনে। বিরাট কোহলিকে সিরিজ শুরুর আগে থেকেই চিন্তায় ছিলেন বাংলাদেশের বোলাররা। ইডেনে ভারতীয় অধিনায়ক তাঁদের সেই চিন্তা আরও বাড়িয়ে দিলেন। ইডেনে প্রথম দিন কোহলির মানবিক দিক নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। ২১তম ওভারে শামির বলে বাংলাদেশের লিটন দাস মাথায় চোট পান। পরের ওভারেই তিনি রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে ফিরে যান ড্রেসিংরুমে। বাংলাদেশ দলের ফিজিও এর পর তাঁর সুশ্রুষায় ব্যস্ত হয়ে পড়েন। তার পরই শামির বলে আঘাত পান নাঈম। আম্পায়ার মারে ইরাশমাশ বাংলাদেশের ড্রেসিংরুমের দিকে ইশারা করে বাংলাদেশের ফিজিওকে ডাকেন। কিন্তু বাংলাদেশের ফিজিওর দেখা পাওয়া যাচ্ছিল না। এদিকে, তড়িঘড়ি চিকিত্সার প্রয়োজন ছিল নাঈমের। ঠিক সেই সময় কোহলি ভারতীয় দলের ফিজিও নীতিন প্যাটেলকে মাঠে আসার জন্য ইশারা করেন। নীতিন এসে নাঈমের প্রাথমিক চিকিত্সা শুরু করেন। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মানবিক বিরাটকে নিয়ে টেস্টের প্রথম দিন বিস্তর আলোচনা হয়েছে। আবার দ্বিতীয় দিন ব্যাটসম্যান বিরাট ছিলেন আলোচনার কেন্দ্রে। প্রথম দিনও অবশ্য ব্যাটসম্যান কোহলির একটি শট নিয়ে চর্চা হয়েছে। একটি দেখার মতো কভার ড্রাইভ মারেন ভারতীয় অধিনায়ক। যার বলে তিনি শট খেলেন সেই বোলারও হাত তালি দিয়ে ওঠেন। বিরাটের সেই শটের ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, কোহলির কভার ড্রাইভ দেখার পর হাত তালি দিয়ে সম্মান জানাচ্ছেন বাংলাদেশের পেসার এবাদত হোসেন। প্রথমবার গোলাপি বলে খেলতে নেমেই সেঞ্চুরি করেছেন কোহলি। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ইডেনে ১৩০ রানে অপরাজিত রয়েছেন তিনি।



আরও পড়ুন-  এক ম্যাচে ২১টি নো বল, দেখলেনই না আম্পায়াররা!



রোহিত শর্মা ও চেতেশ্বর পুজারার মতো ব্যাটসম্যানদের আউট করেছেন এবাদত হোসেন। ইডেনে বারবার তিনি ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের সমস্যায় ফেলছিলেন। সেই এবাদত হোসেনকে খেলতে কোহলির অবশ্য তেমন অসুবিধা হল না। প্রথম দিনে মায়াঙ্ক আগরওয়ালকে তুলে ভারতীয় দলকে প্রথম ধাক্কা দিয়েছিলেন আল আমিন হোসেন। দ্বিতীয় দিনে অবশ্য পরিস্থিতি সামলে নিয়েছে ভারতীয় ব্যাটিং লাইন। চার উইকেট হারালেও ভারতীয় দল রয়েছে শক্ত ভিতে।