নিজস্ব প্রতিবেদন: বছর ১২ আগের ঘটনা। সাল ২০০৬। বিরাট তখন আঠারোর তরতাজা তরুণ। দিল্লির হয়ে রঞ্জি খেলছেন। বিপক্ষ কর্ণাটক। তৃতীয় দিন পর্যন্ত ব্যাট করে ক্রিজে অপরাজিত থেকে বাড়ি ফিরেছেন। পরের দিন আবার ব্যাট করবেন, সেই মতো শ্যাডো প্র্যাকটিস থেকে নানা রকম ভাবনা চিন্তায় নিজেকে বুঁদ করে রেখেছিলেন। কে জানত দিনান্তে রাতের অন্ধকারের থেকেও গভীর, ঘন কালো অন্ধকার সময় নেমে আসছে তাঁর জীবনে। ২৪ সেপ্টেম্বর ২০০৬, রবিবারের ভোর ৩টে নাগাদ পিতৃহারা হয়েছিলেন বিরাট। ইহোলোক ত্যাগ করে পরলোক গমন করেছিলেন প্রেম কোহলি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- কেন কোহলিই পাচ্ছেন খেলরত্ন, স্পষ্ট করল ক্রীড়ামন্ত্রক


দেখতে দেখতে ১২টা বছর হয় গেল, সেই রাত ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়কের স্মৃতিতে এখনও টাটকা। ঘা-টা যেন এখনও দগদগে। এক যুগ আগের সেই রাত এখনও কাঁদায় তাঁকে। ন্যশনাল জিওগ্রাফিকের একটি তথ্যচিত্রে সেই দুর্বিষহ রাতের কথা বলতে গিয়ে ভারত অধিনায়ক বলেছেন, “আমার হাতেই সবটা শেষ হতে দেখেছিলাম (বাবর মৃত্যু)। তখন রাত ৩টে এবং আগের দিন পর্যন্ত ব্যাট করেছি। আমি ৪০ রানে অপরাজিত ছিলাম এবং যেহেতু সেটা ছিল রঞ্জি ম্যাচের শেষ দিন পরদিন আমাকে আবার ব্যাট করতে হতো। সে রাতে আমরা কোনও সাহায্য পাইনি। পাড়াপড়শি থেকে যাদের আমরা চিনতাম, সবাইয়ের কাছেই সাহায্য চাইছিলাম। কিন্তু কোনও চিকিত্সককে পাওয়া যায়নি। সেই রাতে আমরা কারও সাড়া পাইনি। যখন অ্যাম্বুলেন্স এল, সবটা শেষ হয়ে গিয়েছে।” সঙ্গে তিনি জুড়ে দিয়েছেন, “আমার মনে হয় বাবর মৃত্যুর পর থেকেই আমি আরও বেশি ফোকাসড হতে পেরেছি। কারণ সেই সময় থেকেই আমি সব ভুলে নিজের এবং বাবার স্বপ্নের পিছনে ছুঁটতে শুরু করি।”



প্রসঙ্গত, বাবার মৃত্যুর দিনই মাঠে ফিরেছিলেন বিরাট। সেদিন শতরান হাতছাড়া হলেও নিজের স্কোরবোর্ডে আরও ৫০ রান যোগ করেছিলেন বিরাট। চতুর্থ দিনের শেষে বিরাট কোহলির স্কোর ছিল ৯০। কর্ণাটকের বিরুদ্ধে ওই ম্যাচ ড্র করেছিল দিল্লি।


আরও পড়ুন- Asia Cup 2018: পাক বধের পরই দলকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিরাটের টুইট


এরপর যত সময় গিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেটে বিরাট অধ্যায়ের এক একটা পাতা উন্মোচিত হতে থেকেছে। ২০০৮-এ অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ জয় থেকে আজকে বিশ্ব ক্রিকেটের এক নম্বর ব্যাটসম্যান হওয়া এবং বিশ্বের এক নম্বর টেস্ট দলকে নেতৃত্ব দেওয়া- যত দিন যাচ্ছে নিজের মুকুটে আরও আরও পালক গাঁথছেন বিরাট কোহলি।