Wriddhi-কে সাংবাদিকের হুমকি! রেগে আগুন Virender Sehwag
কঠিন সময় ঋদ্ধির পাশে বীরু।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বিন্দুমাত্র ভদ্রতা ও সৌজন্যবোধ না দেখিয়ে ঋদ্ধিমান সাহাকে টেস্ট দল থেকে ছেঁটে ফেলেছে রাহুল দ্রাবিড়ের টিম ম্যানেজমেন্ট। অবশ্য এই ইস্যুতে বিসিসিআই কর্তাদেরও সবুজ সঙ্কেত পেয়েছিল ভারতীয় শিবির। আর এ বার ক্রিকেট দুনিয়ার সেরা উইকেটকিপারকে অপমানিত হতে হল। এক সাংবাদিকের কাছে।
তবে এ বার আর চুপ করে থাকলেন না ঠান্ডা মাথার পাপালি। হোয়্যাটসঅ্যাপ চ্যাটের স্ক্রিনশট টুইটারে পোস্ট করে দিলেন ‘সুপারম্যান’। সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে সেটা তো ভাইরাল হলই, এমন অপমানের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে সেই সেই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন বীরেন্দ্র শেহওয়াগ।
শনিবার রাতের দিকে টুইটারে একটি হোয়্যাটসঅ্যাপ চ্যাটের স্ক্রিনশট পোস্ট করেছেন ঋদ্ধি। সেই স্ক্রিনশটে চোখ রাখলে দেখা যাচ্ছে এক সাংবাদিক ঋদ্ধিকে কার্যত ‘হুমকি’ দিয়েছেন। ঋদ্ধি এই পোস্টের সঙ্গেই লিখেছেন, ‘ভারতীয় ক্রিকেটের প্রতি আমার যাবতীয় অবদানের পর তথাকথিত ‘শ্রদ্ধেয়’ সাংবাদিকের থেকে এমন বিষয়ের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এই পর্যায় নেমে গিয়েছে সাংবাদিকতা।‘
বরাবরই ঋদ্ধিকে পছন্দ করেন বীরু। ২০১০ সালে জাতীয় দলে অভিষেক ঘটানোর সময় থেকেই শেহওয়াগের ভীষণ কাছের মানুষ হলেন ঋদ্ধি। আইপিএল-এ দুজন তৎকালীন কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের হয়েও খেলেছেন। স্বভাবতই তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে রেগে আগুন প্রাক্তন ওপেনার।
ঋদ্ধির পাশে দাঁড়িয়ে সাংবাদিককে একহাত নিয়েছেন বীরু। তিনি টুইটে লিখেছেন, ‘অত্যন্ত দুঃখজনক। এই ধরনের অধিকারবোধ, না তিনি নিজে একজন সম্মানিত ব্যক্তি, না তিনি একজন সাংবাদিক, শুধুই চামচাগিরি। তোমার সঙ্গে রয়েছি ঋদ্ধি।’
শনিবার রাতে এক সাংবাদিক ঋদ্ধিকে রীতিমতো অসম্মানিত করে কিছু মেসেজ পাঠান। সেই মেসেজে সাংবাদিক লিখেছিলেন, ‘আমার সঙ্গে একটা ইন্টারভিউ করো। (তোমার জন্য) ভাল হবে।’ এক মিনিট পরেই আরও একটি মেসেজ এসেছে। সেখানে লেখা হয়েছে, ‘ওরা (বোর্ড) একজন উইকেটকিপার বেছে নিয়েছে, যে সেরা উইকেটকিপার। তুমি ১১ জন সাংবাদিককে বেছে নেওয়ার চেষ্টা করছ, যাঁরা আমার কাছে সেরা নয়। এমন কাউকে বেছে নাও, যে তোমায় সব থেকে বেশি সাহায্য করতে পারবে।’
শুধু বীরু নয়, এই ইস্যুতে ঋদ্ধির পাশে দারিয়েছেন প্রাক্তন অফ স্পিনার হরভজন সিং। তিনি আরও একধাপ এগিয়ে লিখেছেন, 'ঋদ্ধি তুমি সেই সাংবাদিকের নাম সবার সামনে নিয়ে এসো। সেটা না করলে যারা সম্মানের সঙ্গে কাজ করছে তাঁদের অস্তিত্ব বিপন্ন হবে। বিসিসিআই-কে অনুরোধ খেলোয়াড়দের আগলে রাখুন।' সেটা লিখে বোর্ড প্রধান সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, সচিব জয় শাহ, অনুরাগ ঠাকুরকেও ট্যাগ করেছেন ভাজ্জি।
তবে সেখানেই শেষ হয়নি ‘হুমকি’। এর পর ওই সাংবাদিক ফোনও করেন ঋদ্ধিকে। তবে ঋদ্ধি তাঁর ফোন ধরেননি। এর পরই ক্ষুব্ধ হয়ে ওই সাংবাদিক ঋদ্ধিমানকে লেখেন, ‘তুমি ফোন করলে না। আমি কখনও তোমার ইন্টারভিউ নেব না। আমি একেবারেই অপমান মেনে নিই না এবং এটা আমি মনে রাখব। এটা তোমার করা উচিত হয়নি।’
সেই ‘হুমকির’ স্ক্রিনশট পোস্ট করলেও কোনও সাংবাদিকের নাম প্রকাশ করেননি ঋদ্ধি। যিনি বরাবর অত্যন্ত শান্ত স্বভাবের বলে পরিচিত। কিন্তু এই অপমান আর মেনে নিতে পারলেন না। তাই সেই সাংবাদিকের আসল রুপ তুলে ধরলেন।
আরও পড়ুন: Exclusive: ‘দাদি ভরসা দেওয়ার পরেও বাদ পড়লাম!’ ফের বিস্ফোরক Wriddhiman Saha
আরও পড়ুন: বাদ যাওয়া Wriddhiman Saha-র কামব্যাক নিয়ে অদ্ভুত যুক্তি দিল BCCI