নিজস্ব প্রতিবেদন- লাইন অফ কন্ট্রোল। সেখানে পাহারা দিতে গিয়ে আবার ভাংড়া নাচা যায় নাকি! মনে সাহস থাকলে অবশ্যই যায়। আসলে সারা বছর সীমান্ত পাহারা দেওয়া জওয়ানদের জীবনেও অক্সিজেনের দরকার পড়ে। তাঁরা সামাজিক জীবন থেকে অনেক দূরে থাকেন। নিজেদের ক্যাম্প, সহকর্মীদের নিয়েই তাঁদের সংসার। দুর্গম এলাকায় তাঁদের অর্ধেক জীবন কেটে যায়। আর এত কিছু আত্মত্যাগ তাঁরা করেন দেশ ও দেশবাসীর স্বার্থে। তাঁদের এই স্বার্থত্যাগের জন্য দেশের সাধারণ মানুষ নিশ্চিন্তে ঘুমোতে পারেন। কিন্তু সৈনিকদের জীবন থেকে পরিবার, বন্ধু, সামাজিক মেলামেশার মতো শব্দগুলো হারিয়ে যেতে থাকে। তাই কাজের মাঝেই তাঁরা কিছুটা আনন্দ খুঁজে নেন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

একজন সেনা জওয়ানের গোটা যৌবন কেটে যায় দেশসেবায়। যৌবনের পুরো সময়টাই দেশের সীমান্ত পাহারা দিতে চলে যায়। তাই সীমান্তেই তাঁদের ওঠা-বসা, ভাল-মন্দ, আনন্দ-বেদনা জড়িয়ে থাকে। এই ভিডিয়ো যেন সেটাই আরও একবার জানিয়ে দিয়ে গেল। পাক সেনার নাকের ডগায় ভাংড়া নাচলেন ভারতীয় সেনার কয়েকজন জওয়ান। তাঁরা যেখানে দাঁড়িয়ে ভাংড়া নাচলেন তার পিছনেই এলওসি-র কাঁটাতার। সেখানেই জীবন-মৃত্যুকে পায়ের ভৃত্য করে সারা বছর পাহারা দেন জওয়ানরা। কখনও কাঁটাতারের ওপার থেকে ছুটে আসে মৃত্যুর পরোয়ানা লেখা বুলেট। জওয়ানরা অবশ্য সেসবে ভয় করেন না। তাঁরা এই প্রতিকূল পরিস্থিতির সঙ্গেই যেন বন্ধুত্ব করে নিয়েছেন। আর সেই প্রতিকূল পরিস্থিতির মাঝে দাঁড়িয়েই আনন্দের খোঁজ করে নেন তাঁরা।


আরও পড়ুন-  নিজের দেশেই আক্রমণের শিকার আফ্রিদি! ব্যাট-বল কিছুই পারে না-ধুয়ে দিলেন প্রাক্তন পাক অধিনায়ক



ভারতীয় দলের প্রাক্তন ওপেনার বীরেন্দ্র শেহবাগের শেয়ার করা ভিডিয়ো মানেই স্পেশাল কিছু থাকবে। এর আগে একজন বজরংবলির ভক্তের ভিডিয়ো শেয়ার করেছিলেন তিনি। সেই ভক্ত হ্যান্ডেল, ব্রেক ছাড়া সাইকেল চালিয়ে তাক লাগিয়েছিলেন। তার পর পাঁচ বছর বয়সী একটি বাচ্চার ভিডিয়ো পোস্ট করেছিলেন বীরু। সেই বাচ্চা জেসিবি অপারেট করছিল। আর এবার এলওসি-র সামনে দাঁড়িয়ে জওয়ানদের নাচের ভিডিয়ো শেয়ার করলেন তিনি। লিখলেন, ''কিছু মানুষ চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়েও আনন্দ করার সাহস রাখে। আমাদের জওয়ানরা তেমনই সাহসী। ইন্দো-পাক বর্ডারের কাঠে ভারতীয় সেনাদের ভাংড়া নাচ দেখুন।''