Adipurush: `এবার আমি বুঝলাম...!` আদিপুরুষ বিতর্ক চলছে... আগুনে ঘি ঢাললেন বীরু
Virender Sehwags Fun Take On Adipurush: এবার ‘আদিপুরুষ’ দেখে ফেললেন বীরেন্দ্র শেহওয়াগ। বীরু একেবারে সরস স্টাইলেই রামায়ণ অবলম্বনে তৈরি হওয়া ছবি নিয়ে রিভিউ দিলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: 'আদিপুরুষ দেখকর পতা চালা কাটাপ্পা নে বাহুবলী কো কিঁউ মারা থা'! বাংলায় তর্জমা করলে দাঁড়ায়, 'আদিপুরুষ দেখে বুঝলাম যে, কাটাপ্পা কেন বাহুবলীকে মেরে ছিল।' চলতি সময়ের সবচেয়ে চর্চিত ও একই সঙ্গে বিতর্কিত ছবি ‘আদিপুরুষ’ (Adipurush)। যা দেখে ফেললেন ভারতের প্রাক্তন ওপেনার বীরেন্দ্র শেহওয়াগ (Virender Sehwag)। বিশ্বকাপ জয়ী ক্রিকেটার ট্যুইট করেই আদিপুরুষ নিয়ে মজার রিভিউ দিলেন। মুক্তির পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় তুমুল ট্রোলের মুখে রামায়ণ(Ramayan) অবলম্বনে তৈরি ওম রাউতের ছবি ‘আদিপুরুষ’(Adipurush)। এই ছবিতে হনুমানের মুখের একটি সংলাপ তুমুল শোরগোল ফেলেছে নেটপাড়ায়। এই ছবির সংলাপ লিখেছেন মনোজ মুন্তাসির(Manoj Muntasir)। তিনিই জানিয়ে ছিলেন যে, ছবির নির্মাতারা কয়েকটি সংলাপ বদলের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এই ছবির সংলাপ ও গানের কথা লিখেছেন মনোজই। তারমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল বেশ কয়েকটি সংলাপ যা শুনে কার্যত অবাক দর্শকেরা। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে ফিল্ম সমালোচক অনেকেই প্রশ্ন তোলেন ‘পৌরাণিক চরিত্রের মুখে এ কী ভাষা! যেখানে বাবা তুলে কথা বলছেন হনুমান?’ এরপরেই বিক্ষোভের মুখে পড়ে সংলাপ বদলের সিদ্ধান্ত নেয় নির্মাতারা। সেই মতোই বড়পর্দায় হনুমানের মুখে শোনা যাচ্ছে নয়া সংলাপ। তবে কেন এই ধরনের সংলাপ লিখেছিলেন মনোজ। সেই প্রসঙ্গে তিনি বিবৃতিও দিয়েছেন। কেন হনুমানেরর মুখে সরল ভাষা লিখেছেন তিনি, সেই যুক্তিতে বলেছিলেন, 'হনুমানের মুখে সরল ভাষা বসানোর পিছনে কারণ একটাই ছিল যে, বজরংবলী যাঁকে আমকরা বল ও বুদ্ধির দেবতা ভাবি। যে বজরংবলীর মধ্যে পাহাড় তুলে ধরার বলা আছে, সহস্র ঘোড়ার বেগ আছে, সেই বজরংবলীর মধ্যে বাচ্চাও আছে। ওঁর মধ্যে বালকসুলভ ব্যাপার আছে। উনি যেভাবে হাসেন, সেটা ছোটবাচ্চাদের মতো। বজরংবলী শ্রীরামচন্দ্রের মতো নন, তিনি দার্শনিকসুলভ কথা বলে না। বজরংবলী ভগবান নন, তিনি ভক্ত, আমরা তাঁকে ভগবান বানিয়েছি, কারণ ওঁর মধ্যে সেই ক্ষমতা ছিল'।
দ্য বোর্ড অফ কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া ওরফে বিসিসিআই এখন হন্যে হয়ে খুঁজছে সিনিয়ন নির্বাচক কমিটির (পুরুষ দল) চেয়ারম্যান। চেতন শর্মার পদত্যাগের পর ছয় মাস কেটে গিয়েছে। কিন্তু সেই পদ ফাঁকাই রয়েছে। আগামী ৫ অক্টোবর থেকে ভারতে শুরু পঞ্চাশ ওভারের বিশ্বকাপ বোঝাই যাচ্ছে যে, বিসিসিআই-এর প্রধান নির্বাচকের আসন ভরাট করার জন্য তাড়া ঠিক কত'টা! চেতন শর্মা উত্তারঞ্চলের ছিলেন। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সংবিধান মেনে চেতনের জুতোয় যিনি পা গলাবেন, তাঁকেও হতে হবে সেই একই অঞ্চলের। প্রধান নির্বাচক হওয়ার জন্য এই মুহূর্তে হাওয়ায় প্রবল ভাবে ভাসছিল শেহওয়াগের নামই। এই প্রসঙ্গে অল্প কথায় বীরু এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেছিলেন, 'না। আমার কাছে এমন কোনও প্রস্তাব আসেনি।'গত ফেব্রুয়ারিতে জি নিউজের স্টিং অপারেশনের পর চাকরি যায় চেতন শর্মার। তাঁর পরিবর্তে দেশের প্রাক্তন ক্রিকেটার শিব সুন্দর দাস অন্তর্বর্তী মুখ্য নির্বাচক হিসেবে কাজ করছেন। বিসিসিআই-এর বাকি নির্বাচকরা হলেন, এস শরৎ (দক্ষিণাঞ্চল), সু্ব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় (মধ্যাঞ্চল) এবং সলিল আঙ্কোলা (পশ্চিমাঞ্চল)।