নিজস্ব প্রতিবেদন: সোমবারই সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। ২৪ ঘন্টা কাটতে না কাটতেই সম্ভাবনা বাস্তবে রূপ নিল। আইপিএলের প্রধান স্পনসরশিপ থেকে নাম প্রত্যাহার করে নিল  চিনা মোবাইল প্রস্তুতকারী সংস্থা ভিভো। যদিও বিসিসিআই-এর তরফ থেকে জানানো হয়েছে আইপিএলের সঙ্গে পুরোপুরি বিচ্ছেদ ঘটছে না  ভিভোর।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

টুর্নামেন্টের সঙ্গে আরও তিন বছরের চুক্তি বাকি। উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতিতে টাইটেল স্পনসর হিসেবে এ বছর থাকল না ভিভো।  এ বছরের মতো বিরতি নিচ্ছে। ২০২১, ২২ এর পর ২০২৩ সালে চুক্তির মেয়াদ শেষ করবে  তারা। বোর্ডের তরফ থেকে আরও জানানো হয়েছে খুব শীঘ্রই নতুন স্পনসরের নাম ঘোষণা করবে তারা।


আরও পড়ুন: স্থগিত অস্ট্রেলিয়া-ওয়েস্ট ইন্ডিজের টি-২০ সিরিজ, 'সোনায় সোহাগা' আইপিএল-র
 
গত রবিবার আইপিএলের গভর্নিং কাউন্সিলের বৈঠকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, ভিভোই  থাকছে প্রধান স্পনসর। তারপর থেকেই দেশের সবস্তরে চরম সমালোচনার মুখে পড়তে হয় বিসিসিআইকে। যেখানে দেশে জুড়ে চিনা দ্রব্য বয়কটের ডাক দেওয়া হচ্ছে সেখানে কী করে চিনা মোবাইল প্রস্তুতকারী সংস্থাকে আইপিএলে প্রধান স্পনসর রাখা হল। চারিদিক থেকে আইপিএল বয়কটের দাবি ওঠে।


সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো ঝড় উঠেছিল। চিনা সংস্থা ভিভোকে কেন আইপিএলের প্রধান স্পনসর রাখা হবে, তা নিয়ে বিতর্ক তীব্র হচ্ছিল। ঘরে বাইরে যেভাবে চাপ বাড়তে থাকছে তাতে বাধ্য হয়ে চাপে পড়ে আপাতত সরে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলল ভিভো । চলতি বছর আইপিএলের প্রধান স্পনসর থাকছে না তারা। তবে, কি চাপের কাছে নতিস্বীকার?
 
গত জুনে লাদাখ সীমান্তে চিনা সেনার হাতে ২০ জন ভারতীয় জওয়ান শহিদ হন। এরপরেই দেশ জুড়ে চিনা দ্রব্য বয়কটের দাবি উঠেছিল। টিকটক সহ ৫৯টি চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করে কেন্দ্রীয় সরকার। গোটা দেশ যেখানে  চিনের বিরোধিতায় সরব, সেখানে কেন আইপিএলের স্পনসর হিসেবে চিনা কোম্পানিকে রেখে দিচ্ছে আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিল? বিশেষজ্ঞদের মতে. দেশ জুড়ে চিনা বিরোধী হওয়া তৈরি হয়েছে, সেখানে নিজেদের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন রাখতেই সরে দাঁড়াচ্ছে ভিভো। আরও নানা জল্পনাও উঠে আসছে। উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে পাঁচ বছরের জন্য আইপিএল নিয়ে বোর্ডের সঙ্গে চুক্তি হয়েছিল ভিভোর।