স্বরূপ দত্ত


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ভারতীয় ক্রিকেটে এবার সত্যিই পিকের সুশান্থ সিং রাজপুত চলে এসেছেন। পিকের সুশান্ত সিং রাজপুত মানে বুঝতে পারলেন তো? সরফরাজ। হ্যাঁ, পিকে ফিল্মে সুশান্থ সিং রাজপুতের নাম যে এটাই ছিল। এই সরফরাজ নামের এক পাকিস্তানি ক্রিকেটার তো এত বছর পরেও বিশ্বক্রিকেটে কিংবদন্তি। এবার ভারতীয় ক্রিকেটেও সরফরাজ ঝড়। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের সরফরাজ খান।গত আইপিএলে ঠির যেখানে শেষ করেছিলেন, ওখান থেকেই যেন শুরু করলাম এবারের আইপিএলটা। সেই সরফরাজ সম্পর্কে যে ৩ টে কথা বলার।


১) চার কদম চলতে দিতে চাই সরফরাজকে কিছু না জিজ্ঞেস করেই -


পিকে তে সরফরাজের লিপে গান ছিল,
বিন পুছে মেরা নাম অর পাতা, রসমো কো রাখকে পরে
চার কদম, বস চার কদম, চল দো না সাথ মেরে...।


না, বাস্তবের সরফরাজকে মোটেই এমন বলতে হবে বলে মনে হয় না। বরং, তাঁকে খানিকটা এভাবেই বলা উচিত যে,


তুমসা মিলো যো কৌই রহেগুজর, দুনিয়াসে কৌন ডরে
চার কদম ক্যা, সারি উমর, চল দুঙ্গা সাথ তেরে...।


তাই নয় তো কী! সরফরাজের মতো তরুণ ডাকাবুকো ব্যাটসম্যানকে দীর্ঘদিন পায়নি ভারত। এই ছেলেটা কিন্তু লিমিটেড ওভার ক্রিকেটে আগামিদিনে ভারতীয় ক্রিকেটের জার্সি গায়ে অনেক ম্যাচে দেশকে জেতাবেন। তাই আমরা তাঁকে সময় দিতে তৈরি। কিছু না জিজ্ঞেস করেই তাঁকে চার কদম হাঁটাতে দিতে তৈরি। বিশ্বাস, সরফরাজও পিকের সরফরাজের মতো হতাশ করবেন না।



২) সরফরাজের মতো চেহারা ক্রিকেটার ভারতীয় ক্রিকেটে সাধারণত আসেন না ! - সরফরাজ খানকে দেখেছেন তো? কেমন গোলগাল-নাদুস-নুদুস টাইপের সাস্থ্য না? এমন ধরনের শারীরিক কাঠামোর ক্রিকেট বেশিরভাগই পাকিস্তান, আফগানিস্থান, ইউএই, ওমানে পাওয়া যায়। আকমল, শেহেজাদদের চেহারা এমন হয়। তাই সরফরাজ যদি আগামিদিনে ক্রিকেট থেকে আরও সাফল্য লাভ করেন, তাহলে সে আজকের দিনের সিক্স প্যাক অ্যাবস জামানায় একটু অন্য চেহারার ক্রিকেটারদেরও উত্‍সাহিত করতে পারবেন নিশ্চয়ই।


৩) বাড়ির শিক্ষাই প্রথম শিক্ষা - কথায় বলে, বাড়ি থেকেই প্রথম শিক্ষাটা পাওয়া যায়। সরফরাজ খানের বাবা নিজে ক্রিকেট কোচ। তাঁর নিজে হাতে তৈরি সন্তান, একটু ভালো তো হবেই। মুম্বইয়ের ক্রিকেটার কিন্তু এবার খেলবেন উত্তরপ্রদেশর হয়ে। তিনিও খুব গর্ব করে আত্মবিশ্বাসীভাবে বলেছেন, এই মারকুটে ব্যাটিংটা সরফরাজের সহজাত। সে তো বটেই। না হলে, ক্রিস গেইল, বিরাট কোহলি, এবি ডিভিলিয়ার্স, ওয়াটসনদের মাঝে দিব্যি ১০ বলে অপরাজিত ৩৫ রানের ভূত ছাড়ানো ইনিংস খেলছেন মাত্র ১৮ বছর বয়সের একটি ছেলে! এটা ব্যাতিক্রমীও নয়। গত আইপিএলেই সরফরাজ খেলেছিলেন ২১ বলে ৪৫ রানের ইনিংস। ভারতীয় দলে টি২০ কিংবা একদিনের ক্রিকেটে খুব শিগগিরিই সরফরাজকে সুযোগ দেওয়া উচিত। এ ছেলে কিন্তু প্রথম গোঙানো থেকেই ভরসা দিচ্ছেন। ব্যাটের হাত ভালো। বলটাও করতে পারেন। দু-একটা বেনোজল হঠিয়ে নিশ্চয়ই সুযোগ দেওয়া হোক তাঁকে। বিরাট থেকে শেন ওয়াটসনরাও কিন্তু সেই কথাটাই বলতে শুরু করে দিয়েছেন। আন্ডাক নাইনটিনে দেশকে অনেক সাফল্য এনে দিয়েছেন। সিনিয়রদের আইপিএলে যদি এই বেধড়ক ঠ্যাঙানি দিতে পারেন, তাহলে সিনিয়রদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তাঁর উপর ভরসা রাখতে অসুবিধা কোথায়?