নিজস্ব প্রতিবেদন: এই মুহূর্তে ইংল্যান্ডের বেস্ট অলরাউন্ডার কে? বেন স্টোকস, ক্রিস ওকস না কি স্যাম কুরান? ক্রিকেট বোদ্ধারা বেন স্টোকসকে সবথেকে বেশি নম্বর দিয়েও হলফ করে বলতে পারবেন না, তিনিই সেরা। কারণ, বাকি দুই অলরাউন্ডারের পারফরম্যান্স সেটা করতে দেবে না।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

লর্ডসে ওকসের শতরান, সঙ্গে উইকেট। আর স্যাম কুরান-এই লবাগত তরুণকে দেখলে বোঝাই দায়, যে তিনি বিশ্বের এক নম্বর টেস্ট দলের বিরুদ্ধে খেলছেন। এতটাই সাবলীল দেখাচ্ছে তাঁকে, যে অনায়াসেই বলে দেওয়া যায় সারের হয়ে অ্যাসেক্স কিংবা নটিংহ্যামশায়ারের বিরুদ্ধে কাউন্টি খেলছেন তিনি!  এজবাস্টনে দল যখন খাদের কিনারায়, তখন তাঁর ব্যাটেই লাইফলাইন ফিরে পেয়েছিল ব্রিটিশ দল। আর তাঁর বোলিং বিস্ফোরণ দেখে ব্রিটিশ পত্রিকা শিরোনাম করেছিল, ‘ইলেকট্রিফাইং কুরান’। অর্থাত্ যিনি বিদ্যুত্ সঞ্চারিত করতে পারেন। প্রথম ইনিংসে ৪ উইকেট। আর দ্বিতীয় ইনিংসে অনবদ্য ৬৩ রান। এজবাস্টনে ভারতকে ৩১ রানে হারানোর অন্যতম কাণ্ডারি ছিলেন তিনিই। লর্ডসেও তাঁর ঝুলিতে ছিল ৪০ রান আর এক উইকেট।  এই পারফরম্যান্সের পরও তাঁকে বাদ দিয়েই ট্রেন্ট ব্রিজে নেমেছিল ইংল্যান্ড। যার ফলও ভুগেছে তাঁরা।



সাউদাম্পটনে ৭৮ রানের ইনিংস খেলে তিনি আবারও প্রমাণ করলেন তাঁকে দলে না রাখা জো রুটের ভুল। মারাত্মক ভুল। যদিও স্যাম কুরান অবশ্য বলছেন, কেন তাঁকে বাদ দেওয়া হয়েছিল সেটা তিনি বুঝতে পেরেছেন। ক্রিস ওকস, যিনি লর্ডসে ওমন একটা দুর্ধর্ষ পারফরম্যান্স করেছেন, তাঁকে পরের ম্যাচে বাদ দেওয়া কোনও অধিনায়কের পক্ষেই সম্ভব নয়। কিন্তু ট্রেন্ট ব্রিজে না থাকায় হতাশ হয়েছিলেন স্যাম। তাঁর কথায়, “দলে জায়গা করে নেওয়ার জন্য প্রত্যেকেই লড়ছে। দল থেকে বাদ পড়ায় হতাশ হয়েছিলাম ঠিকই, তবে আমি এখন দলে রয়েছি এবং আমি দলের প্রয়োজনেই নিজের অবদান রাখতে চাই”।



একই সঙ্গে সাউদাম্পটনে অনবদ্য অর্ধ-শতরানের পর তিনি জানাচ্ছেন, “আমি কোনও কিছু প্রমাণ করতে চাই না। সারের হয়ে যেমন খেলতাম এখানেও স্বাভাবিক ক্রিকেট খেলছি। যেভাবে বেন স্টোকস দলের হয়ে নিজের অবদান রাখছেন, আমিও সেটাই করতে চাই”।