মহারাজের আত্মজীবনী পড়ে কী বললেন `দাদা`র দাদা ?
`তরুণ প্রজন্মের বইটা পড়া উচিত্। সে ক্রিকেট খেলুক বা পড়াশোনা করুক, সবার পড়া উচিত্ বইটা।`
সুখেন্দু সরকার : প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলির আত্মজীবনী 'আ সেঞ্চুরি ইজ নট এনাফ' ইতিমধ্যেই সাড়া ফেলে দিয়েছে দাদার ভক্তদের মধ্যে। ক্রিকেটিয় কেরিয়ারের লড়াই থেকে নানান খুঁটিনাটি এই বইতে তুলে ধরেছেন মহারাজ। মহারাজের আত্মজীবনী পড়ে আপ্লুত দাদার দাদা স্নেহাশিস গাঙ্গুলি।
২৪ ঘণ্টা ডট কম-কে দেওয়া সাক্ষাত্কারে অকপট স্নেহাশিস। তিনি বলেন, "আমি বইটা পড়েছি, দারুণ লেগেছে। তরুণ প্রজন্মের বইটা পড়া উচিত্। সে ক্রিকেট খেলুক বা পড়াশোনা করুক, সবার পড়া উচিত্ বইটা। নিঃসন্দেহে দারুন অনুপ্রেরণা জোগাবে। বইটা পড়ে আমি অনুপ্রাণিত হয়েছি।"
আরও পড়ুন- জন রাইট আর সৌরভ ছিল স্বামী-স্ত্রী: লক্ষ্মণ
নতুন কিছু কি জানতে পারলেন? এই প্রশ্নের উত্তরে স্নেহাশিস জানান, "আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রতিষ্ঠা পেতে হলে কতটা পরিশ্রম করতে হয়, তা এই বইটি পড়ে জানা যাবে। নাথিং ইজ সো ইজি, কোনও কিছুই সহজে পাওয়া যায় না। এই বইটা পড়ে সেটা বোঝা যায়। সৌরভ গাঙ্গুলি যে আজ সৌরভ হয়েছে সেটা ১৯৯২ সাল থেকে ধাক্কা খাওয়ার পর, অনেক চড়াই উতরাইয়ের পর হয়েছে। আসলে এটাই জীবন। শুধু সৌরভ নন, আজ যাঁরাই বড় হয়েছেন, তাঁদের কারওর জীবনই এত মসৃণ নয়। জীবনে ভাঙা-গড়ার খেলা চলবে। তবে না একটা জায়গায় আজ পৌঁছেছে সৌরভ গাঙ্গুলি।"
পাশাপাশি 'দাদা'র দাদা (স্নেহাশিস)বলেন, "সাধারণ মানুষ যারা বইটা পড়বে তারা অনেক কিছু জানতে পারবেন। সৌরভের এই যে অ্যাটিটিউড এটা সবার খুব জানা দরকার। জীবনে ইতিবাচক মনোভাবের খুব প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি। কোনও কিছু অর্জন করতে গেলে ইতিবাচক মানসিকতার হতে হয়। সৌরভের সবচেয়ে বড় বিষয়টা হল ও ভীষণ ইতিবাচক।
আরও পড়ুন- টেস্টে কোহলি-পূজারার গুরুত্ব সমান: সৌরভ