জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সাল ২০১৩। এমএস ধোনির (MS Dhoni) নেতৃত্বে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতেছিল টিম ইন্ডিয়া (Team India)। তারপর পেরিয়ে গিয়েছে পাক্কা ন'টি বছর। একবারও আইসিসি-র কোন ট্রফি স্পর্শ করতে পারেনি বিরাট কোহলি (Virat Kohli) বা রোহিত শর্মার (Rohit Sharma) ভারত। ব্যাক-টু-ব্যাক টি-২০ বিশ্বকাপেও ভারতকে থামতে হয়েছিল লিগ পর্যায়ে ও সেমিফাইনালে। দেখতে গেলে ভারত আইসিসি ইভেন্টে বারবার 'চোক' করছে! এই মর্মেই টিম ইন্ডিয়াকে বিঁধল পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়ক মহম্মদ হাফিজ (Mohammad Hafeez)। তিনি সাফ বলছেন যে, আইসিসি ইভেন্টে হলেই আর ভারত পারফর্ম করতে পারে না!


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

হাফিজ এক স্পোর্টস ওয়েবসাইটে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, 'যদি বিগত ১০-১২ বছরের ইতিহাস দেখা যায়, তাহলে একটা জিনিস বোঝা যাবে, যে দেশেই ভারত খেলতে গিয়েছে, সে দেশেই ভারত ছিল ফেভারিট। দ্বিপাক্ষিক সিরিজে ভারতকে কেউ হারাতে পারে না। ওদের সাফল্যের শতকরা হারও অনেক ওপরের দিকে। কিন্তু আইসিসি ইভেন্টে ভারত পারফর্ম করতে পারে না। ঘরোয়া ক্রিকেটের সঙ্গে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের কোনও তুলনা হয় না। একই ভাবে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ ও আইসিসি-র নকআউটের কোনও তুলনা হয় না। সাম্প্রতিক অতীতে আমরা দেখেছি যে, ভারত আইসিসি ইভেন্টের চাপই নিতে পারে না। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচই হেরে যায়। হয় কোয়ালিফাই করতে পারে না, তো সেমিফাইনালে গিয়ে আটকে যায়। ২০১৭ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনাল হারের পরেই ভারতের কিন্তু আইসিসি ইভেন্টে প্রমাণ করার ব্যাপারটা বেড়ে গিয়েছে।' ২০১৫ সালে পঞ্চাশ ওভারের বিশ্বকাপে ভারত সেমিতে হেরেছিল অস্ট্রেলিয়ার কাছে। ২০১৬ সালে টি-২০ বিশ্বকাপেও ভারত শেষ চারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হারে। এরপর ২০১৭ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে পাকিস্তানের কাছে হার। ২০১৯ বিশ্বকাপেও (পঞ্চাশ ওভার) ভারত সেমি ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের কাছে হারে। ২০২৩ সালে ভারত ঘরের মাঠে পঞ্চাশ ওভারের বিশ্বকাপ খেলবে। রোহিতরা চাইবেন এবার আইসিসি-র ট্রফির খরা কাটাতে।


আরও পড়ুন: Virat Kohli: কুম্বলে থাকাকালীনই বিরাট দেন কোচিংয়ের প্রস্তাব! মহারথীর চাঞ্চল্যকর তথ্যে শোরগোল


গত পয়লা জানুয়ারি ভারতীয় দলের পারফরম্য়ান্স পর্যালোচনা করার জন্য় রবিবার বৈঠকে বসেছিল বিসিসিআই। বছরের পয়লা তারিখে বোর্ড ডেকে পাঠিয়েছিল বিসিসিআই সভাপতি রজার বিনি, সাধারণ সচিব জয় শাহ , কোচ রাহুল দ্রাবিড় ও ক্যাপ্টেন রোহিতকে। ছিলেন জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমির প্রধান ভিভিএস লক্ষ্মণ ও প্রাক্তন প্রধান নির্বাচক চেতন শর্মা। বৈঠকে বিসিসিআই আগামীর রূপরেখা তৈরি করে দিয়েছিল। সেখানে বলা হয়েছিল ১) উঠতি ক্রিকেটারদের চুটিয়ে খেলতে হবে ঘরোয়া ক্রিকেট। সেখানে উল্লেখযোগ্য পারফর্ম করেই জাতীয় দলে নির্বাচনের যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। ২) ইয়ো ইয়ো টেস্ট ও ডেক্সা এখন নির্বাচনের মানদণ্ড। সেন্ট্রাল পুলে থাকা ক্রিকেটারদের জন্যও তা প্রযোজ্য। ৩) পুরুষদের এফটিপি ও আইসিসি বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে, এনসিএ কাজ করবে আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলির সঙ্গে। চলতি বছর আইপিএলে অংশ নেওয়া ক্রিকেটারদের মনিটর করবে জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমি।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)