নিজস্ব প্রতিবেদন: ১৬১ টেস্টের ২৯১ ইনিংসে ৫৭টি অর্ধশতরান, ৩৩টি শতরান যার মধ্যে ৫টি দ্বিশতরান, সব মিলিয়ে সর্বমোট ১২ হাজার ৪৭২ রান করে ব্যাট-প্যাড-গ্লাভস-হেলমেট তুলে রাখলেন অ্যালিস্টার কুক। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আর দেখা যাবে না তাঁকে, পতৌদি সিরিজ চলাকালীনই সে কথা ঘোষণা করেছিলেন অ্যালিস্টার। কুক জানিয়ে ছিলেন, ওভালই তাঁর শেষ টেস্ট। সেই মতো  জীবনের অভিষেক টেস্টের পর এক যুগের ক্রিকেট জীবনকে কেনিংটন ওভালেই ‘গুড বাই’  বললেন তিনি। আর জীবনের শেষ আন্তর্জাতিক ইনিংসে এঁকে গেলেন স্বর্ণখচিত ইতিহাস। ওভালে কুকের শতরান থাকল সোনায় বাঁধানো। ম্যাচের নায়কও হলেন তিনিই। এর থেকে আর রূপকথার বিদায় কিই বা হতে পারত।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- ধোনিকে পিছনে ফেলে দিলেন পন্থ



টেস্ট ক্রিকেটে সর্বোচ্চ রানের অধিকারীদের মধ্যে পঞ্চম স্থানে নিজের নাম তোলা, ব্রিটিশদের মধ্যে সবথেকে বেশি টেস্ট রান করা, ইংল্যান্ড দলের সব থেকে বেশি ১৬১ টেস্ট খেলা ক্রিকেটার হওয়া – এ সবই কুকের ঝুলিতে এসেছে বিগত ১২ বছরে। একই সঙ্গে তাঁর নামের পাশে জুড়ে গিয়েছে ‘দানব’ শব্দটিও। হ্যাঁ, উপমহাদেশে কুক-কে বলা হয় ‘দানব’। আর এমনটা বলার কারণ, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা এবং বাংলাদেশের মতো ঘূর্ণি উইকেটে তাঁর পারফরম্যান্স।


আরও পড়ুন- এটাই কি সেরা ভারতীয় দল? সাংবাদিকের প্রশ্নে চটলেন বিরাট



বিগত এক দশকেরও বেশি সময়ে এশিয়ায় মোট ২৮টি ম্যাচ খেলে কুকের সংগ্রহ ২ হাজার ৭১০ রান। এশীয় নন, অথচ এশিয়ায় ‘দাদাগিরি’ করেছেন, এমন নজির কুক ছাড়া আর রয়েছে স্রেফ জ্যাক ক্যালিসের। দক্ষিণ আফ্রিকার এই কিংবদন্তি এশীয় সার্কিটে ২৪ ম্যাচে ২ হাজার ৫০৮ রান করেছেন। তাঁর গড় ৫৫.৪৭। অন্যদিকে ব্রিটিশ তারকার গড় ৫৩.১৩। পরিসংখ্যান বলছে, যেখানে গোটা বিশ্বে গড়ে প্রতি ৯৭ বলে আউট হতে দেখা গিয়েছে কুক-কে, সেখানে কুক-কে আউট করতে এশীয় বোলারদের লেগেছে ১১৮ বলেরও বেশি।  বিগত দুই দশকে যে বিদেশি ব্যাটসম্যানরা এশিয়ায় অন্তত ৪০টি ইনিংস খেলেছেন, তাঁদের মধ্যে কুকের এই পারফরম্যান্স শ্রেষ্ঠ হওয়ার দাবি রাখে। বলা ভাল কুকের এই সাফল্যের ধারের কাছেই নেই অনেক এশীয় কিংবদন্তিও।