নিজস্ব প্রতিবেদন : তিনি নিজেও জাতীয় স্তরের সাঁতারু ছিলেন। তবে কোচিংয়ে আসার পর থেকে নিজের আলাদা পরিচয় তৈরি করতে পেরেছিলেন কোচ সুরজিত গাঙ্গুলি। কোচ হিসাবে তাঁর বেশ সুনাম হয়েছিল। কিন্তু সেই সুনাম তিনি বজায় রাখতে পারলেন না। ১৫ বছর বয়সী ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। যা নিয়ে এখন ভারতের খেলার দুনিয়া তোলপাড়। কোচ সুরজিত গাঙ্গুলিকে যেন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হয়, দাবি তুলেছেন ক্রীড়াপ্রেমীরা। এদিকে, ইতিমধ্যে কোচ সুরজিত গাঙ্গুলির হাতে প্রহৃত ছাত্রী একটি ভিডিয়ো শেয়ার করেছেন। সেখানে তিনি তুলে ধরেছেন, দিনের পর দিন কীভাবে কোচ তাঁর শারীরিক নির্যাতন করেছেন। সেই ছাত্রী এখন তার রিষড়ার বাড়িতে ফিরে এসেছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-  রিষড়ার সাঁতারুর পাশে কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী, কঠোর শাস্তির মুখে অভিযুক্ত কোচ সুরজিত্ গাঙ্গুলি



রিষড়ার সেই সম্ভাবনাময়ী দাবি করেছেন, ক্রীড়াক্ষেত্রে এমন দুষ্কর্ম করা কোচ আরও রয়েছেন। কিন্তু তাঁদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার সাহস জুগিয়ে উঠতে পারেন না অনেকেই। ১৫ বছর বয়সী সেই সাঁতারু সাহস করে মুখ খুলেছেন কোচের বিরুদ্ধে। এমনকী ফাঁদ পেতে কোচ সুরজিত গাঙ্গুলির দুষ্কর্ম সবার সামনে তুলেও ধরেছে। জানা যাচ্ছে, কোচ সুরজিত গাঙ্গুলির চরিত্রের দোষ ছিল আগে থেকেই। রেলের চাকরির পাশাপাশি সাঁতারের ট্রেনিং করাতেন সুরজিত। তাঁর তত্ত্বাবধানে বহু সাঁতারু বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় নেমে ভাল ফল পেয়েছে। তবে বাংলায় ট্রেনিং করানোর সময় এক ছাত্রীর মায়ের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক গড়ে ওঠে বলে অভিযোগ ছিল। এর পরই চাপের মুখে বাংলা ছেড়ে অন্য জায়গায় চলে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়। 


কোচ সুরজিত গাঙ্গুলি প্রথমে বেঙ্গালুরুতে গিয়েছিলেন। তার পর গোয়া সুইমিং অ্যাসোসিয়েশন-এর কোচ হিসাবে দায়িত্ব পান। রিষড়ার সেই ছাত্রী জানিয়েছে, ১০ বছর বয়স থেকে সে কোচ সুরজিত গাঙ্গুলির তত্ত্বাবধানে ট্রেনিং করে। এর পর কোচ তাঁকে গোয়ায় আসতে বলেন। সেই ছাত্রী গোয়ায় যাওয়ার পর থেকেই তাকে শারীরিক নিগ্রহ করা শুরু করেন সুরজিত। কাউকে কিছু বললে ফল খারাপ হবে বলে ভয়ও দেখান তিনি। কিন্তু শেষমেশ সাহস জুগিয়ে কোচের দুষ্কর্মের কথা প্রকাশ করে সেই সাহসী ছাত্রী। খোদ কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী সুরজিতের কঠোর শাস্তির আশ্বাস দিয়েছেন।