অর্কদীপ্ত মুখোপাধ্যায়-  মীরাবাই চানুর পর টোকিও অলিম্পিকে দেশকে দ্বিতীয় রুপোর পদক এনে দিয়েছেন রবি কুমার দাহিয়া। সোনা না জেতায় একটু হতাশ তবে রুপো জিতে গর্বিতও। শনিবার বজরং পুনিয়ার ব্রোঞ্জ জয়ের ব্যাপারে চূড়ান্ত আশাবাদী। রুপো জেতার পর একান্ত সাক্ষাত্কার দিলেন জি ২৪ ঘণ্টাকে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

প্রশ্ন - আপনাকে অনেক অনেক অভিনন্দন। দেশকে দ্বিতীয় রুপোর পদক এনে দিয়ে কেমন লাগছে?


দাহিয়া - প্রথমেই আপনাদের ধন্যবাদ জানাতে চাই। খুবই ভালো লাগছে। সমস্ত দেশবাসীকে ধন্যবাদ জানাতে চাই।


প্রশ্ন - ফাইনালে ওঠার পর রুপো নিশ্চিত করে ফেলেছিলেন ফাইনালে কি বাড়তি কোনো চাপ ছিল?


দাহিয়া - না বাড়তি কোনো চাপ ছিল না। আমার প্রতিপক্ষ খুব ভালো খেলোয়াড় ছিলেন ও জয় পেয়েছেন। আমি আমার ১০০ শতাংশ দিয়েছিলাম কিন্তু আমার দুর্ভাগ্য আমি সোনার পদক পাইনি। 


প্রশ্ন - এই মুহুর্তে দেশের সকলের মুখে আপনার নাম। অনেক পরিশ্রম করে, কষ্ট করতে হয়েছে আপনাকে। কি বলবেন?


দাহিয়া -  দেশের সবাই আমায় সমর্থন করেছেন, উত্সাহ যুগিয়েছেন। দেশের প্রধানমন্ত্রীও সমর্থন জানিয়েছেন। দেশের ক্রীড়ামন্ত্রী, আমাদের মুখ্যমন্ত্রী প্রত্যেকে পাশে থেকেছেন। সবাইকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। সবার প্রার্থনা, ভালোবাসা আমার সঙ্গে ছিল বলেই আমি পদক জিততে পেরেছি। 


প্রশ্ন - অলিম্পিক প্রস্তুতির জন্য আপনাকে ফোন, সোশ্যাল মিডিয়া এবং পরিবারের থেকেও দূরে থাকতে হয়েছে। প্রস্তুতির দিনগুলো কেমন ছিল?


দাহিয়া - এত বড় টুর্নামেন্ট ছিল, এর জন্য অনেক কঠিন প্রস্তুতি প্রয়োজন ছিল। যে কোনো জিনিষ আমার প্রস্তুতিতে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে সেই সবকিছুকে দূরে সরিয়ে রেখেছিলাম। আমার কোচ আমার সঙ্গে ছিলেন এবং তিনি বলেছিলেন অন্য সবকিছুকে সরিয়ে রাখতে এবং সমস্ত ফোকাস খেলায় রাখতে বলেছিলেন। আমি কোচের প্রত্যেকটা কথা শুনে চলি। তাই জন্যই আমি আজ মেডেল পেয়েছি। 


প্রশ্ন - জেতার পরে বাড়িতে সবার প্রথমে কার সঙ্গে কথা বললেন? আপনার বাড়ির সামনে হোলি-দিওয়ালি একসঙ্গে চলছে।


দাহিয়া - হ্যাঁ, বাড়িতে সবাই খুব আনন্দ করছেন। এটা দেখে সত্যিই খুব ভালো লাগছে। মনে হচ্ছে যে দেশের জন্য কিছু করেছি। বাড়ির সবার সঙ্গেই কথা হয়েছে। সবাই খুব খুশি। বাড়ির লোক বলেছেন নিজের খেয়াল রাখতে। তবে সোনা না জেতায় একটু আক্ষেপও রয়েছে সকলের। 


প্রশ্ন - ২০২৪ সালের প্যারিস অলিম্পিকে আপনার লক্ষ্য কি থাকবে?


দাহিয়া - টোকিওতে রুপোর পদক পেয়েছি, এরপরে আমার একটাই লক্ষ্য। সোনার পদক। প্যারিসে সেই লক্ষ্য নিয়েই নামব।


প্রশ্ন - আপনি রুপো জিতেছেন, শনিবার বজরং পুনিয়ার কাছে সুযোগ রয়েছে ব্রোঞ্জ জেতার। কুস্তি দলের পারফরম্যান্স নিয়ে কি বলবেন?


দাহিয়া - দেখুন, আমরা এখানে অনেক বেশি প্রত্যাশা নিয়ে এসেছিলাম। সেই অনুযায়ী খেলতে পারিনি। খুব অল্পের জন্য দীপক পুনিয়া পদক মিস করেছেন। উনি ব্রোঞ্জ জিততেই পারতেন। ভিনেশের উপরও সবার ভরসা ছিল। কিছু করার নেই। কখনও কখনও হয়। বজরং শনিবার নিশ্চিতভাবে ব্রোঞ্জ জিতবে। চোটের কারণে সেমিফাইনালে বজরংয়ের একটু অসুবিধা হয়েছিল। 


প্রশ্ন - অলিম্পিকে ভারতের পারফরম্যান্স নিয়ে কি বলবেন? কুস্তি, ভারোত্তোলন, বক্সিং, হকিতে পদক পাওয়া গিয়েছে। 


দাহিয়া - এবারের অলিম্পিকে ভালো ফল করার ফলে এই খেলাগুলি সবার নজরে এসেছে। প্রধানমন্ত্রী আমাদের পাশে রয়েছেন। ফেডারেশন কর্তারা মেডেলের লক্ষ্যেই আমাদের তৈরী করেছে, পাশে থেকেছে। সবাই বলেছেন যে দেশের জন্য পদক আনতে হবে। এবারই তার কিছু সুফল পাওয়া গিয়েছে। ২০২৪ সালের অলিম্পিকের আগে আমাদের সবার আরও উন্নতি হবে এবং আমরা আশা করছি আরও পদক আনতে পারব। 


প্রশ্ন - আপনাদের এই পারফরম্যান্সে তরুণ প্রজন্ম উত্সাহিত হচ্ছে। কি বলতে চাইবেন ভবিষ্যত প্রজন্মকে?


দাহিয়া - আমি শুধু একটাই কথা বলব যে প্রচুর পরিশ্রম করতে হবে। থামলে চলবে না। এগিয়ে যেতে হবে ও দেশের নাম উজ্জ্বল করত হবে।