অর্কদীপ্ত মুখোপাধ্যায়: 'আমার দেশের অবস্থা ভয়ানক। আমার ছেলেবেলার দিনগুলি দেখতে পাচ্ছি। আরও গভীর অন্ধকারে তলিয়ে যাচ্ছে আমার দেশ'। জি ২৪ ঘণ্টাকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে বললেন আফগানিস্তানের মহিলা ফুটবলার অধিনায়ক খালিদা পোপাল। তাঁর আক্ষেপ,  'আমেরিকা সেনা সরিয়ে নিল। অন্য কোনও দেশও সেভাবে আমাদের সমর্থন করছে না। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক'।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মার্কিন সেনা চলে যাওয়ার পর কার্যত কোনও প্রতিরোধই গড়তে পারল না প্রশাসন। দু'দশক পর ফের আফগানিস্তানে তালিবান-রাজ। শেষবার যখন তারা ক্ষমতা এসেছিল, তখন আফগান মহিলাদের শোচনীয় অবস্থার কথা জানে গোটা বিশ্ব। এবার কী হবে? সাংবাদিক বৈঠকে তালিবান মুখপাত্র জানিয়েছেন, শরিয়তি আইন মেনে মেয়েদের স্বাধীনতার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত পড়াশোনাই শুধু নয়, সরকারে মেয়েদের অংশগ্রহণকেও স্বাগত জানাচ্ছে তারা।


আরও পড়ুন: AFC Cup: প্রথম ম্যাচেই বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে ২-০ গোলে জয় ছিনিয়ে নিল ATK Mohun Bagan


যদিও তালিবান জমানায় আফগানিস্তানে মহিলাদের অধিকার নিয়ে 'সংশয়ী' খালিদা পোপাল। স্পষ্টতই বললেন, 'শরিয়তি আইন মেনে মহিলাদের চলতে হবে। আর সেই আইন তালিবানের মর্জি মতোই হবে। সাধারণ আফগান, মহিলা ও শিশুরা নির্দোষ। কিন্তু তারা ভয়ঙ্কর মৃত্যুর মুখোমুখি হচ্ছেন'। আফগানিস্তান মহিলার ফুটবল দলের প্রাক্তন অধিনায়কের কথায়, '২০১১ সালের পর আবার দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছি। একাধিক বার প্রাণনাশের হুমকি পেয়েছে। এখনও দেশের বাইরে রয়েছি। দিল্লিতে গিয়েছিলাম। এছাড়াও বিভিন্ন দেশে গিয়েছিলাম'।


 



তালিবানের আতঙ্ক কাঁপছেন আফগানিস্তানের মহিলা ফুটবলাররা। গতকাল, দ্য অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের সঙ্গে কথা বলেছিলেন খালিদা পোপাল। জানিয়েছিলেন, 'আমার কাছে প্রচুর ফোন আসছে। আফগানিস্তানের মহিলা ফুটবলাররা ফোন করে হাউ হাউ করে শুধুই কাঁদছে। আমি তাদের বলছি, সোশ্যাল মিডিয়া থেকে নিজেদের ছবি সরিয়ে নাও। লুকিয়ে পড়তে বলেছি। ওদের জীবন এখন বিপন্ন'।