হেরে দেশকে ক্ষতির হাত থেকে বাঁচাল জার্মান দল!
রাশিয়া বিশ্বকাপে লেখা হয়ে গেল জার্মানিদের এপিটাফ। দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে ২-০ গোলে হেরে বিশ্বযুদ্ধ থেকে বিদায় নিল জোয়াকিম লো-র জার্মানি।
নিজস্ব প্রতিবেদন: এই সেই কাজান এরিনা, মঙ্গলবারের রাত এখানেই ফুটেছিল ইরিথ্রিনা ক্রিস্টিনা গাললি (আর্জেন্টিনার জাতীয় ফুল)। নাইজেরিয়া জয়ের পর লা এলবিসিলেস্তে ফ্যানদের কেউ কেউ আবার একে বলছেন ‘মেসিফুল’। মাত্র ঘণ্টাখানেকের ব্যবধান। সেই কাজান এরিনার ‘নীল-সাদা বাগান’-ই পরিণত হল ধ্বংসস্তূপে। রাশিয়া বিশ্বকাপে লেখা হয়ে গেল জার্মানিদের এপিটাফ। দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে ২-০ গোলে হেরে বিশ্বযুদ্ধ থেকে বিদায় নিল জোয়াকিম লো-র জার্মানি।
কাঁদতে কাঁদতে মাঠ ছাড়লেন মুলার, ওজিল, নয়্যাররা। ওদিকে অ্যাঞ্জেলা মর্কেলের দেশে তখন একদিকে বাজছে বিষণ্ণতার বাজনা, অন্যদিকে আবার মুখে মুখে ঝড়ছে ‘স্বস্তির চওড়া হাসি’ও। বিশ্বকাপে বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের হারে বিপুল ক্ষতির হাত থেকে বাঁচল জার্মানি।
জার্মান সংবাদমাধ্যম 'দ্য লোকাল' এক প্রতিবেদনে দাবি করেছে, শুধুমাত্র দক্ষিণ কোরিয়া বনাম জার্মানি ম্যাচেই দেশের ক্ষতি হয়েছে ২০০ মিলিয়ন ইউরো। ভারতীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ১৬ হাজার কোটি টাকা। হ্যাঁ। আপনি ঠিকই পড়েছেন। ৯০ মিনিটের ম্যাচ দেখতে গিয়ে জার্মান দেশের ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১৬ হাজার কোটি টাকা।
জার্মানির মিডিয়া গ্রুপ ফাঙ্কা মিডিয়েনগ্রুপি-র রিপোর্ট অনুযায়ী, জার্মানির ম্যাচ থাকলেই বিরাট প্রভাব পড়ে দেশের কর্ম সংস্কৃতির উপর। কর্পোরেট-সহ দেশের সংগঠিত এবং অসংগঠিত ক্ষেত্রের লাখো লাখো ‘শ্রমিক’ নির্দিষ্ট সময়ের আগেই কর্মবিরতিতে চলে যায়। এতে থমকে যায় গোটা উত্পাদন পক্রিয়াই। যার ফলে ধাক্কা খায় দেশের অর্থনীতি।
যদিও, বাজার-অর্থনীতির বিশেষজ্ঞ ক্রিস্টোফ শ্রোডারের মতে, “কোনও কোম্পানির সহকর্মীরা একসঙ্গে খেলা দেখলে তাঁদের মধ্যে একটা বন্ধন তৈরি হয়। এতে দলগত কাজে নৈপুণ্য বাড়ে এবং উত্পাদনও ভালও হয়”।
প্রসঙ্গত, এই আশা নিয়ে বুধবারও ম্যাচ দেখতে বসেছিল গোটা জার্মানি। কিন্তু আশানুরূপ ফল হয়নি। এমনটা যদি আগামীতেও ঘটত তাহলে আরও বিশাল অঙ্কের ক্ষতি হত দেশের, মত সেদেশের বিশ্লেষকদের একাংশের।
আরও পড়ুন- দেশে ফিরল দাবার 'খুদে বিস্ময়', রাজকীয় সংবর্ধনা