নিজস্ব প্রতিবেদন- ২০১৮ সালের ২০ মার্চ। ভারত-পাকিস্তান বিশ্বকাপ ফাইনাল। এখনও সেই দিনটার কথা মনে পড়লেই গর্বে চোখের কোণে জল আসে নরেশ তুম্বার। সেদিন ভারতের বিরুদ্ধে ৩০৮ রান করেছিল পাকিস্তান। ফাইনাল ম্যাচে এত বড় লক্ষ্যমাত্রা ভারতীয় দলকে চ্যালেঞ্জের সামনে ফেলেছিল। কিন্তু সেই ম্যাচ ভারতীয় দল জিতেছিল। পাকিস্তানকে হারিয়ে বিশ্বকাপ ঘরে তুলেছিল ভারতীয় দল। ওই ম্যাচে দলের জয়ের পিছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল নরেশ তুম্বার। মনে রাখার মতো ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। তার পর কয়েকদিন প্রচুর সংবর্ধনা, অভ্যর্থনা পেয়েছিলেন। কিন্তু সেইসব স্থায়ী হয়নি। শেষমেশ অবহেলাই জুটেছে নরেশের কপালে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বিশ্বকাপ জয়ের বছর দুয়েকের মধ্যেই তাঁর অনুদান ভুলতে বসেছে সবাই। দেশকে দৃষ্টিশক্তিহীনদের ক্রিকেটে বিশ্বকাপ জেতানো এই ক্রিকেটার এখন বাজারে বসে সবজি বিক্রি করেন। সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন নরেশ। ভারতের আহমেদাবাদের জামালপুর মার্কেটের এক কোণে বসে এখন সবজি বিক্রি করেই দিন কাটে তাঁর। ক্রিকেট এখন অতীত। করোনা অনেকের জীবনে অনেক কিছু বদল এনেছে। তবে নরেশের মতো ভাগ্যের পরিহাস হয়তো সবাইকে মেনে নিতে হয়নি। দেশকে বিশ্বকাপ দেওয়ার পর ধোনি, কপিল দেবদের দেশবাসী মাথায় তুলে রেখেছে। অর্থ, যশ, প্রতিপত্তি, কোনো কিছুরই অভাব নেই তাঁদের। তা হলে নরেশদের বেলায় এমন দ্বিচারিতা কেন! এক যাত্রায় পৃথক ফল কেন! 


আরও পড়ুন-  CISF জওয়ানদের সুরক্ষায় প্রশংসনীয় উদ্যোগ নিলেন ভারতীয় দলের তারকা রাহুল


দৃষ্টিহীন হওয়ায় নরেশ কোনও চাকরি পাননি। ২৯ বছর বয়সী এই ক্রিকেটারের কাঁধে পাঁচজন সদস্যের সংসার টানার দায়িত্ব রয়েছে। তাই সবজি বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছেন তিনি। বিশ্বকাপ খেলে আসার পর ম্যাচের পারিশ্রমিক ছাড়া বেশি কিছু পাননি। কোনও আর্থিক অনুদানও জোটেনি। মহাত্মা গান্ধী ন্যাশনাল রুরাল এমপ্লয়মেন্ট গ্যারান্টি অ্যাক্ট প্রকল্পের আওতায় দিনমজুরের কাজ করে কিছুদিন সংসার চালিয়েছিলেন। কিন্তু সেই কাজ এখন বন্ধ। তাই নরেশ বাজারে সবজি বিক্রি করেন। নরেশ তুম্বা আক্ষেপ করে বলেন, ''ধোনিরা বিশ্বকাপ জিতলে দেশ ও রাজ্যের সরকার কত টাকা, সম্মান প্রদান করে। কিন্তু  আমাদের মতো দৃষ্টিশক্তিহীন ক্রিকেটারদের জন্য কোনও উচ্ছ্বাস নেই! আর্থিক অনুদানও পাই না। আসলে আমাদের কখনওই সমান নজরে দেখা হয় না।''