Wrestlers Protest At Jantar Mantar: উত্তাল যন্তর মন্তর! ব্যারিকেড ভেঙে কুস্তিগীরদের আন্দোলনে কৃষকরা, দেখুন ভাইরাল ভিডিয়ো
Body Summary: Wrestlers Protest News in Delhi: রবিবারই কুস্তিগিরদের সমর্থনে যন্তর মন্তরে উপস্থিত হন খাপ পঞ্চায়েতের সদস্যরা। কুস্তিগীদের সমর্থনে ধরনা মঞ্চে আসেন কৃষক নেতা রাকেশ টিকায়েত। তাঁর সঙ্গে ছিলেন আর এক কৃষক নেতা হান্নাম মোল্লা।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ৮ মে অর্থাৎ সোমবার সকাল থেকেই ফের উত্তাল হয়ে ওঠে দিল্লির (Delhi) যন্তর মন্তর চত্বর (Jantar Mantar)। পুলিস ও কেন্দ্রীয় সুরক্ষা বাহিনীকে উপেক্ষা করে ব্যারিকেড ভেঙে দিল সংযুক্ত কিষান মোর্চার সদস্যরা (Samyukta Kisan Morcha)। কুস্তিগীরদের আন্দোলনে (Wrestlers Protest) যোগ দিলেন দেশের একাধিক কৃষক। কৃষকরা যে কুস্তিগিরদের আন্দোলনে যোগ দিতেন পারেন, সেই ইঙ্গিত রবিবার অর্থাৎ ৭ মে বোঝা গিয়েছিল। এদিন এর রেশ রাজধানীতে ভালো রকমই দেখা গেল। কারণ যৌন হেনস্থার দায়ে অভিযুক্ত জাতীয় কুস্তি সংস্থার (Wrestling Federation of India) সভাপতি ব্রিজভূষণ শরণ সিংয়ের (Brij Bhushan Sharan Singh) গ্রেফতারের দাবিতে এবার জুড়ে গেল সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা।
সোমবার সকাল থেকে প্রচুর সংখ্যক কৃষক আসতে শুরু করেন যন্তর মন্তর চত্তরে। কঠোর নিরাপত্তা বলেয় মুড়ে ফেলা হয় গোটা এলাকা। পুলিস কৃষকদের আটকালে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। ব্যারিকেড ভেঙে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে যোগ দেওয়ার চেষ্টা করেন কিষান মোর্চার সদস্যরা। তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি হয় ভিনেশ ফোগাট (Vinesh Phogat), সাক্ষী মালিক (Sakshi Malik) ও বজরং পুনিয়াদের (Bajrang Punia) আন্দোলনে।
রবিবারই কুস্তিগীরদের সমর্থনে যন্তর মন্তরে উপস্থিত হন খাপ পঞ্চায়েতের সদস্যরা। কুস্তিগীদের সমর্থনে ধরনা মঞ্চে আসেন কৃষক নেতা রাকেশ টিকায়েত। তাঁর সঙ্গে ছিলেন আর এক কৃষক নেতা হান্নাম মোল্লা। সোমবারও দেখা গেল কিষান মোর্চার সদস্যরা তাদের পতাকা নিয়ে কুস্তিগীরগের আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন।
কুস্তিগীরদের সঙ্গে আলোচনার পর সুরেন্দ্র সোলাঙ্কি বলেন, "কৃষক সভা, কুস্তিগীরদের সঙ্গে খাপ পঞ্চায়েত সদস্যদের আলোচনা হয়েছে। আমরা সরকারকে ১০ দিন সময়সীমা দিচ্ছি। এরমধ্যে ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়া হলে আন্দোলনের ব্যাপকতা আরও বাড়বে।"
আরও পড়ুন: Wrestler Protst: ‘আমরা কি এই দিন দেখার জন্য পদক জিতেছি?’ পুলিসি আক্রমণের মুখে কুস্তিগীররা
এই খবর প্রকাশ্যে আসার পরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ২৫ মিনিটের একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেন ব্রিজভূষণ। সেখানেই কৃষকদের হুঁশিয়ারি দেওয়ার পাশাপাশি নিজেকে আবারও নির্দোষ বলে দাবি করেন তিনি। বিজেপি সাংসদের মতে, কুস্তিতে স্বচ্ছতার নিয়ম চালু করেছেন বলেই তাঁকে কাঠগড়ায় তুলেছেন কুস্তিগিররা।
ব্রিজভূষণ বলেন, “খাপ পঞ্চায়েতের কাছে আমি হাতজোড় করছি, তদন্তের রিপোর্ট বেরনো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। রিপোর্ট দেখে আপনাদের অনুতপ্ত হতে হচ্ছে, এমনটা যেন না হয়। যদি দোষী সাব্যস্ত হই, তাহলে আমি নিজেই খাপ পঞ্চায়েতে যাব। তখন আমাকে জুতোপেটা করে মেরে ফেলবেন। কিন্তু আমার অনুরোধ, ছোটরা যা ভুল করছে সেটা আপনারা করবেন না।”
একইসঙ্গে প্রতিবাদী কুস্তিগিরদের একহাত নিয়েছেন ব্রিজভূষণ। তিনি ফের যোগ করেন, "আপনাদের পরিচিত কোনও মেয়ে যদি কুস্তির সঙ্গে যুক্ত থাকে, তাহলে জিজ্ঞাসা করে দেখুন আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে কিনা। আসলে আমি চেয়েছিলাম, একেবারে প্রাথমিক স্তর থেকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে উঠে আসুক কুস্তিগিররা। ট্রায়ালের মাধ্যমে যোগ্য কুস্তিগিরকে বেছে নেওয়া হবে। সেই নিয়ম চালু হওয়ার পর থেকেই প্রতিবাদ শুরু করেছে কয়েকজন কুস্তিগির। আসলে প্রতিবাদী কুস্তিগিরদের কেরিয়ার শেষ হয়ে গিয়েছে।"
নিজেকে ফের একবার নির্দোষ বলে দাবি করে ব্রিজভূষণ বলেছেন, দোষী প্রমাণিত হলে তিনি আত্মঘাতী হবেন। সেটাও জানিয়েছেন তিনি। কিষান মোর্চা এবং খাপ পঞ্চায়েতের সদস্যদের কুস্তিগীরদের আন্দোলনে সামিল না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন ভারতীয় কুস্তি ফেডারেশনের সভাপতি। যদিও তাই বলে আন্দোলন থেমে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই। কয়েক সপ্তাহ আগে কুস্তিগিররা ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করেন। ইতিমধ্যেই এফআইআর দায়ের হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। কিন্তু বজরং-সাক্ষীদের দাবি গ্রেফতার করতে হবে যৌন হেনস্থাতে অভিযুক্ত ব্রিজভূষণকে।