Wriddhiman Saha: কেন ফের একবার সেই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন ঋদ্ধি? জানতে পড়ুন
বঙ্গ উইকেটকিপারের সেই টুইট ভাইরাল হতেই তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছিলেন বীরেন্দ্র শেহওয়াগ (Virender Sewhag) থেকে শুরু করে রবি শাস্ত্রী (Ravi Shashtri)। ঋদ্ধিমান সাহা (Wriddhiman Saha) ও তাঁর পরিবারের অভিযোগ ছিল সেই জনৈক সাংবাদিক তাঁকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করছেন!বিসিসিআই-এর (BCCI) কাছে সেই সাংবাদিকের নাম জানালেও, তিনি সাংবাদিকের নাম প্রকাশ করেননি।
নিজস্ব প্রতিবেদন: গত ১৯ ফেব্রুয়ারি রাতের দিকে ঋদ্ধিমান সাহার (Wriddhiman Saha) একটা টুইট। আর তাতেই উত্তাল হয়েছিল গোটা ভারতীয় ক্রিকেট (Indian Cricket)। তাঁর দাবি ছিল এক সাংবাদিক তাঁকে হুমকি দিয়েছিলেন। সেই ঘটনার জেরে দুই বছরের জন্য সেই সাংবাদিককে নির্বাসিত করেছে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Sourav Ganguly) বিসিসিআই (BCCI)। কিন্তু কেন বিষয়টি প্রকাশ্যে এনেছিলেন এই তারকা উইকেট কিপার? সেটাই এ বার জানালেন পাপালি।
একটি সর্ব ভারতীয় সংবাদ সংস্থাকে ঋদ্ধি বলেছেন, "গোটা বিশ্বকে জানাতে চেয়েছিলাম যে একজন সাংবাদিক একটা সাক্ষাৎকার পেতে কোন পর্যায়ে পৌঁছে যান। পরে এও জানতে পারি, এই প্রথম নয়। সাক্ষাৎকার পেতে এর আগেও নাকি এমন কাজ করেছেন তিনি। একাধিক ক্রিকেটারকে এ ভাবেই হুমকি দিয়েছিলেন।" এরপর ঋদ্ধি আরও যোগ করেছেন, "শুরুতে আমি বিষয়টা সামনে আনতে চাইনি। কারণ প্রত্যেকেরই নিজস্ব কেরিয়ার রয়েছে। কিন্তু উলটো দিকের লোক এমন বিষয়ের জন্য যদি অনুতপ্ত না হলে, আর কতদিন মুখ বুজে থাকা যায়।"
গত ১৯ ফেব্রুয়ারি শ্রীলঙ্কা সিরিজের দল ঘোষণার কিছুক্ষণ পরেই ঋদ্ধি টুইটারে এই সাংবাদিকের হুমকি তুলে ধরেছিলেন। এই সাংবাদিক ঋদ্ধিকে রীতিমতো অসম্মানিত করে কিছু মেসেজ করেছিলেন। সেই রাতে টুইটারে একটি হোয়্যাটসঅ্যাপ চ্যাটের স্ক্রিনশট পোস্ট করেছিলেন ঋদ্ধি। সেই স্ক্রিনশটে চোখ রাখলে দেখা যাচ্ছিল এই সাংবাদিক ঋদ্ধিকে কার্যত ‘হুমকি’ দিয়েছেন। ঋদ্ধি এই পোস্টের সঙ্গেই লিখেছিলেন, ‘ভারতীয় ক্রিকেটের প্রতি আমার যাবতীয় অবদানের পর তথাকথিত ‘শ্রদ্ধেয়’ সাংবাদিকের থেকে এমন বিষয়ের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এই পর্যায় নেমে গিয়েছে সাংবাদিকতা।'
বঙ্গ উইকেটকিপারের সেই টুইট ভাইরাল হতেই তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছিলেন বীরেন্দ্র শেহওয়াগ (Virender Sewhag) থেকে শুরু করে রবি শাস্ত্রী (Ravi Shashtri)। ঋদ্ধি ও তাঁর পরিবারের অভিযোগ ছিল সেই জনৈক সাংবাদিক তাঁকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করছেন!বোর্ডের কাছে সেই সাংবাদিকের নাম জানালেও, তিনি সাংবাদিকের নাম প্রকাশ করেননি।
অভিযুক্ত সাংবাদিক আবার পালটা দাবি করেন, তাঁর চ্যাটের বিকৃত স্ক্রিনশট সোশ্যাল মাধ্যমে পোস্ট করেছেন ঋদ্ধি। গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখতে বোর্ড তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে। তবে পরে দুই পক্ষই তদন্ত কমিটির সামনে উপস্থিত হয়ে তাঁদের আত্মপক্ষ সমর্থন করার সুযোগ পেয়েছিলেন। সহ সভাপতি রাজীব শুক্লা (Rajeev Shukla), কোষাধক্ষ্য অরুণ ধুমল (Arun Dhumal) এবং অ্যাপেক্স কাউন্সিলের সদস্য প্রভতেজ ভাটিয়ার সেই কমিটি ঋদ্ধি এবং অভিযুক্ত ওই সাংবাদিকের সঙ্গে কথাও বলেন। তারপর কমিটি নিজেদের রিপোর্ট জমা করে। শেষমেশ বোর্ডের কড়া শাস্তির মুখে পড়েন সেই সাংবাদিক।
আরও পড়ুন: Chris Gayle-এর সঙ্গে ছবি পোস্ট করে ট্রোলড হলেন Vijay Mallya, ছবি ভাইরাল