নিজস্ব প্রতিবেদন: ঋদ্ধিমান সাহাকে (Wriddhiman Saha) 'হুমকি' দিয়ে তাঁর একান্ত সাক্ষাৎকার নেওয়ার চেষ্টা করেছেন এক সাংবাদিক! কে এই সাংবাদিক? এই একটা প্রশ্নেই ভারতীয় ক্রিকেট তোলপাড় হয়ে গিয়েছে শেষ ৭২ ঘণ্টা! এমনকী বিসিসিআই ভাবছে যে, পুরো বিষয় খতিয়ে দেখার জন্য নিরপেক্ষ তদন্তকারী সংস্থার দ্বারস্থ হবে। অথচ ঋদ্ধিমান মঙ্গলবার একের পর এক টুইট করে জানিয়ে দিলেন যে, তিনি মানবিকতার খাতিরেই সেই সাংবাদিকের নাম বলবেন না। ঋদ্ধি এবং বিতর্ক, একেবারে বিপরীত মেরুতে অবস্থান করে! দীর্ঘ কেরিয়ারে বিতর্ক থেকে কয়েক হাজার মাইল দূরে থেকেছেন বাংলার 'পাপালি'। ভারতীয় টেস্ট দল থেকে বাদ পড়ার পর থেকেই বিতর্ক যেন ঋদ্ধির ছায়াসঙ্গী হয়ে গিয়েছে। ঋদ্ধি নিজেও হয়তো এহেন বিতর্ক প্রত্যাশা করেননি। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এদিন ঋদ্ধিমান লিখলেন, "এই ঘটনায় আমি আহত ও ক্ষুব্ধ হয়েছিলাম। ভেবেছিলাম এরকম ব্যবহার সহ্য করব না। আমি চাইনি কেউই এরকম গুন্ডামির শিকার হোক। ভেবেছিলাম সেই চ্যাট জনসমক্ষে প্রকাশ করব। কিন্তু তাঁর নাম বলব না। কিন্তু আমার প্রকৃতি এটা নয় যে, আমার জন্য় কারোর কেরিয়ারে ক্ষতি হয়ে যাবে। মানবিকতার খাতিরে এবং সেই সাংবাদিকের পরিবারের মুখ চেয়ে আমি আপাতত তার নাম প্রকাশ্যে আনছি না। তবে ভবিষ্যতে এরকম কিছু ঘটলে, আমি কিন্তু চুপ থাকব না। আমি সেই সকল মানুষকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই, যারা আমাকে সমর্থম করে সাহায্যের জন্য হাত বাড়িয়েছেন।"






ঋদ্ধিমানের পাশে দাঁড়িয়েছে ইন্ডিয়ান ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশন (Indian Cricketers' Association)। এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে তারা। সংস্থার সভাপতি প্রাক্তন ক্রিকেটাক অশোক মালহোত্রা। জি ২৪ ঘণ্টাকে টেলিফোনে বললেন," এই ঘটনায় আমি খুবই আপসেট। আমি জানি খেলোয়াড়রা যখন বড় হয়ে ওঠে তখন সাংবাদিকরা অনেক সমর্থন করেন সাহায্য করেন। সেই খেলোয়াড় যখন ভারতীয় দলের হয়ে খেলা শুরু করে, তখন অনেক সাংবাদিক তার কাছে চলে আসে। লাভ ক্রিকেটারেরও হয়, সাংবাদিকেরও হয়। জানি না কোন সাংবাদিক এই ঘটনা ঘটিয়েছে! সে নীজের সীমা অতিক্রম করে গিয়েছে। হুমকি দেওয়া যায় না কোনও ক্রিকেটারকে। ইন্ডিয়ান ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হিসাবে আমি অত্যন্ত রেগে আছি। আমরা প্রেস বিবৃতি দিয়েছি। ভিডিও প্রকাশ করেছি। আজকে ঋদ্ধিকে ধমকানো হয়েছে, কালকে অন্য কাউকে ধমকানো হবে। আমার মনে হয় নামটা সামনে আসুক। মুখোশটা খুলে দেওয়া উচিত। ঋদ্ধি কেন নামটা বলছে না, সেটা আমি বুঝতে পারলাম না। সমস্যটা হচ্ছে যে, ঋদ্ধি অত্যন্ত ভদ্র একজন মানুষ। তাই ও সাংবাদিককে প্রত্যাঘাত করেনি। সাংবাদিক ভেবেছিল ঋদ্ধি কোনও প্রতিক্রিয়া দেবে না। কিন্তু হয়েছে উল্টো। ঋদ্ধি স্ক্রিনশট দিয়েছে। যখন স্ক্রিনশটই দিল, তখন নামটা বলতে কী সমস্যা হলো! যদিও সিদ্ধান্ত ঋদ্ধির। কেউ ওকে জোর করতে পারে না। তবে এরকম প্রথম হয়েছে। কোনও সাংবাদিককে এভাবে হুমকি দেওয়া হয়নি এর আগে। আমি শুনেছি বিসিসিআই পদক্ষেপ নেবে। তবে তার জন্য ঋদ্ধিমানকে নামটা বলতেই হবে। ইন্ডিয়ান ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশন কোনও ক্রিকেটারের সঙ্গে এরকম আচরণ মেনে নেব না।" এখন দেখার ঋদ্ধিমানের এই ইস্যু কতদূর গড়ায়!


আরও পড়ুন: Aakash Chopra On Wriddhiman Saha: 'সাংবাদিক কথা বলছেন অপহরণকারীর মতো!'


আরও পড়ুনKL Rahul: ১১ বছরের শিশুর জন্য 'দেবদূত' হয়ে এলেন রাহুল! প্রাণ বাঁচালেন ৩১ লক্ষ টাকা দিয়ে