নিজস্ব প্রতিবেদন: দুই থেকে আড়াই কিলোমিটার পর্যন্ত পথ দৌড়ে পার করতে হবে। তার মধ্যেই দেখে নেওয়া হবে, একজন অ্যাথেলিট হাওয়ার বাঁকে হারিয়ে যাচ্ছেন কিনা। দেখা হবে, খেলোয়াড়ের মনোবল, সহনশক্তিও। মূলত ফুটবল খেলায় এই ধরণের পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে যেতে হয় একজন ফুটবলারকে। তবে এখন এই পরীক্ষায় বসতে হচ্ছে ভারতীয় ক্রিকেটারদেরও, দাবি প্রাক্তন জাতীয় দলের প্রাক্তন ট্রেনার রামজি শ্রীনিবাসনের।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

প্রতিভা আছে। ফিটনেস নেই। এমনটা হলে ভারতীয় দলের দরজা বন্ধ। সম্প্রতি ‘ফুটবলের পরীক্ষায়’ পাস না-করার খেসারত দিতে হয়েছে সঞ্জু স্যামসন, অম্বাতি রায়ডু এবং মহম্মদ সামিকে। ইয়ো-ইয়ো টেস্টে ফেল করায় জাতীয় দল থেকে বাদ পরেছেন এই তিন তারকাই।


আরও পড়ুন- মেসিকে সমর্থন করুন, আর্তি মারাদোনার


রবি-বিরাটের নির্দেশ- ইয়ো-ইয়ো টেস্টে উত্তীর্ণ হয়েই ভারতীয় দলে আসতে হবে প্রত্যেক ক্রিকেটারকে। যদিও এই বিষয়ে কোনও লিখিত নির্দেশিকা বিসিসিআইয়ের কাছে নেই। এমনকী ‘রাহুলের ভারত’-এ এমন কোনও বাধ্যবাধকতা নেই। অনূর্দ্ধ ১৯ দলে প্রতিভাকেই অগ্রাধিকার দিয়েছেন কোচ রাহুল দ্রাবিড়। 


এই ‘দ্বিচারিতা’ নিয়েই প্রশ্ন তুলছেন অনেকে। জাতীয় দলের প্রাক্তন ট্রেনার রামজি শ্রীনিবাসন মনে করেন, ক্রিকেটার নির্বাচনে ইয়ো-ইয়ো টেস্টের থেকেও যে বিষয়ে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া উচিত, তা হল-


  • বল

  • কর্মশক্তি

  • দ্রুততা

  • ধৈর্য

  • নমনীয়তা


শ্রীনিবাসনের কাছে ক্রিকেট আসলে দক্ষতা আর মনোবলের খেলা। এখানে ‘রকেট সায়েন্সের’ মতো কিছু নেই। তাঁর মতে ক্রিকেটারদের মনে কোনও কিছুর ভয় থাকলে তারা পারফর্ম করতে পারে না। সে জন্য এটা দেখা প্রয়োজন, খেলোয়াড়রা ফিটনেস ট্রেনিংকে কতটা আনন্দের সঙ্গে গ্রহণ করছেন। বয়সের নিরিখে ফিটনেসের বিষয়টি ভেবে দেখার পরামর্শও দিয়েছেন প্রাক্তন এই ট্রেনার। সামঞ্জস্য থাকলে দল সামগ্রিকভাবে ভাল ফল করতে পারবে বলেই মত রামজি শ্রীনিবাসনের। 


আরও পড়ুন- লাইভেই সাংবাদিকের বক্ষে হাত! জোর করে চুম্বন! তারপর...