নিজস্ব প্রতিবেদন : দেবীপক্ষের শুরুতে প্রায় ইতিহাসে পৌঁছে গিয়েছিলেন এক বাঙালি কন্যা। হয়তো প্রথম ভারতীয় হিসেবে যুব অলিম্পিকে ব্যক্তিগত সোনা জয়ের নজির গড়ে ইতিহাসে নাম তুলে রাখতে পারতেন হুগলির বৈদ্যবাটির মেহুলি ঘোষ। এবারও তীরে এসে তরী ডুবল। বুয়েনস আয়ার্সে অনুষ্ঠিতযুব অলিম্পিকে সোনা হাতছাড়া করলেন বাঙালি শুটার। ১০ মিটার এয়ার রাইফেল ইভেন্টে রুপোলী মেহুলি হয়েই থাকতে হল তাঁকে।    



COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সোমবার ফাইনাল রাউন্ডে যখন তিনি শেষ শুটে যাচ্ছেন তখন, সোনা প্রায় হাতের মুঠোয়(০.৬ পয়েন্টে এগিয়ে)। বাঙালির হাত ধরে অলিম্পিকে সোনা আসবে, এই স্বপ্ন যখন সবে দানা বাঁধতে শুরু করেছে, তখনই বিপর্যয়। শেষ শুটে মাত্র ৯.১ পয়েন্ট স্কোর করে যুব অলিম্পিকে সোনা হাতছাড়া করলেন। ২৪৮ পয়েন্ট স্কোর করলেন তিনি। সোনা জিতলেন ডেনমার্কের স্টেফানি গ্রুন্ডসোয়ি (২৪৮.৭ পয়েন্ট)। ফাইনাল রাউন্ডে একটা সময় চার নম্বরে নেমে গিয়েছিলেন মেহুলি। সেখান থেকে চলে এসেছিলেন সোনা জয়ের একেবারে কাছাকাছি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পারলেন না।



এশিয়ান গেমসে ভারতীয় দলে ছিলেন না মেহুলি ঘোষ। এর পরে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে লড়াই করে হেরে যান তিনি। তার পরেই ছিল এই যুব অলিম্পিক। যেখানে পদক জয়কেই পাখির চোখ করেছিলেন কমনওয়েলথ গেমসে রুপো জয়ীর মেহুলি। অস্ট্রেলিয়ার গোল্ড কোস্টে কমনওয়েলথ গেমসেও একটুর জন্য সোনা হাতছাড়া করেছিলেন বাঙালি কন্যা। অস্ট্রেলিয়া থেকে আর্জেন্টিনা ছবিটা বদলালো না। ফাইনালের আগের রাতে একটু নার্ভাসই ছিলেন মেহুলি। ফোন করে সেই কথা কোচ জয়দীপ কর্মকারকে বলেছিলেন তিনি। শুটিং থেকে মন সরাতে জয়দীপ মহালয়া আর দেবীপক্ষের কথা বলে শুভ ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। সোনা হাতছাড়া হলেও মেহুলির জন্য গর্বিত তাঁর কোচ জয়দীপ কর্মকার। ফোনে বলছিলেন, " মহালয়ার দিন সকালে চণ্ডীপাঠ শুনে ঘুম ভেঙেছিল। রাতে এক বাঙালি মেয়ের বিশ্বজয়ে চমকে উঠলাম। এভাবেই দেবীপক্ষ শুরু। মেহুলি যা করে দেখাল তা এর আগে কেউ করেনি। মেহুলির জন্য গর্বিত।"