নিজস্ব প্রতিনিধি : কোথাও অ্যাসিড আক্রমণ হচ্ছে তাদের উপর। কোথাও পিটিয়ে মেরে ফেলা হচ্ছে তাদের। আবার কোথাও কোথাও তো যৌন নির্যাতনও করা হচ্ছএ তাদের উপর। কোনও নির্দিষ্ট জায়গায় নয়, গোটা দেশেই চলছে তাদের উপর নির্বিচারে অত্যাচার। পথ কুকুর, বিড়াল, ছাগল, গরু, মহিষ, কোনও কিছুই যেন মানুষের অকথ্য ও অকারণ অত্যাচারের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না। এক শ্রেণীর মানুষ নির্বিচারে অত্যাচার করে চলেছে অবলাদের উপর। দশটা জঘন্য ঘটনার মধ্যে হয়তো প্রকাশ্যে আসছে পাঁচটা ঘটনা। সেক্ষেত্রে কিছুটা শাস্তি হচ্ছে দুর্বৃত্তদের। তাও দৃষ্টান্তমূলক কোনও শাস্তি নয়। কবে থামবে অবলাদের উপর এমন অত্যাচার?


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-  ‘ধোনির জন্য কোনও অর্থই খরচ করছে না হিমাচল সরকার’


মানুষের সুবুদ্ধির আশায় বসে না থেকে কিছু একটা করার কথা ভাবছিলেন অনেকেই। কিন্তু অনেকেই উদ্যোগ নেওয়ার ক্ষেত্রে দিনের পর দিন কাটিয়ে দিচ্ছিলেন। ভারতীয় স্পিনার যুজবেন্দ্র চাহ্বল কিন্তু সেই পথে হাঁটলেন না। তিনি অবলাদের উপর অত্যাচার বন্ধ করার কথা ভাবলেন এবং প্রায় সঙ্গেসঙ্গে উদ্যোগও নিলেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে সটান চিঠি লিখলেন চাহ্বল। এই ধরণের জঘন্য অপরাধ করলে অপরাধীকে জেলে পাঠানোর আর্জি জানালেন তিনি।


চিঠিতে চাহ্বল লিখলেন, ''এটা খুব দুঃখজনক ব্যাপার যে সারা দেশে কুকুর, বিড়াল, গরুসহ প্রায় সবরকম প্রাণীর উপরই নিয়ম করে অত্যাচার করা হচ্ছে। কাউকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হচ্ছে। কারও গায়ে অ্যাসিড ঢেলে দেওয়া হচ্ছে। এই ধরণের নৃশংস অপরাধের জন্য আমার মনে হয় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চালু হওয়া উচিত। বড়সড় আর্থিক জরিমানা, হাজতবাস চালু হলে এই ধরণের অপরাধ তুলনামূলক কমবে কিনা বলা মুশকিল। তবে অন্তত এই প্রাণীগুলোর নিরাপত্তায় আমরা যে সচেতনভাবে কিছু একটা করছি তা নিশ্চিত হবে। অবলা প্রাণীদের উপর আমাদের একটা ভালবাসা বা দায়িত্ব থাকা উচিত। এই সমাজ থেকে এটা ওদের প্রাপ্য।''


আরও পড়ুন-  বিলেতে বিরাট কীর্তি স্মৃতি মন্ধানার


পেটা-র পশুসুরক্ষা আইনে অবলাদের উপর অত্যাচারের শাস্তির নিধান রয়েছে। তবে তা বহুদিন ধরে একই নিয়মে চলছে। এই যেমন, প্রথমবার যদি কেউ কোনও প্রাণীর উপর অত্যাচার করেন সেক্ষেত্রে তাঁর মাত্র ৫০ টাকা আর্থিক জরিমানা হতে পারে। চাহ্বল এই মান্ধাতার আমলের আইনে বদল আনার জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ আশা করেছেন।