নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রত্যেক পরিযায়ী শ্রমিককে প্রধানমন্ত্রীর রিলিফ ফান্ড থেকে এককালীন ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হোক... দাবি তুললেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মাইলের পর মাইল...তাঁরা হাঁটছেন, হাঁটছেন কেবল বাড়ি ফেরার জন্য, খাবার নেই, নেই জল, কোলে দুধের শিশু, সঙ্গে থাকা কিছু জামাকাপড় আর ফুরিয়ে আসা কয়েকটা টাকা। গত দেড়-দু'মাসে পরিযায়ী শ্রমিকদের দুর্দশা যেন আমাদের সমাজের কালো দিকটাকে আরও প্রকট করে দিয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কেউ হাঁটছেন জাতীয় সড়ক ধরে, কেউ রেললাইন ধরে। কেউ গাড়ি চাপা পড়ছেন, কেউ ট্রেনের তলায়! গত দুমাসে কত পরিযায়ী শ্রমিকদের মৃত্যু হয়েছে দুর্ঘটনায়, সে সংখ্যাটা নেহাতই কম নয়। পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ি ফেরাতে বিশেষ ট্রেন ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী, কিন্তু সেই ট্রেনেরও পরিষেবা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। নেই খাবার, নেই জল- ভিড়ে গাদাগাদি স্পেশ্যাল ট্রেনেও অসুস্থ হয়ে মৃত্যু হচ্ছে দিনের পর দিন অভুক্ত পরিযায়ী শ্রমিকদের।
সম্প্রতি বিহারের প্ল্যাটফর্মে পড়ে থাকা মায়ের দেহের ওপর চাদর নিয়ে শিশুর খেলার ছবিটা যেন নাড়িয়ে দিয়েছে গোটা সমাজকে।
পরিযায়ী শব্দটাই এখন বড় কষ্টের। কেন তাঁদের পরিযায়ী হতে হল, সোশ্যাল মিডিয়ায় উঠছে তা নিয়েও একাধিক প্রশ্ন। নেটিজেনদের প্রশ্ন, পরিযায়ী শ্রমিকদের দায়িত্ব কি ঝেড়ে ফেলতে পারে সরকার?
অনেকপর কার্যত সরকারের দ্বীতিয় বর্ষপূর্তির দিন প্রধানমন্ত্রীর গলায় শোনা গিয়েছে পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে কিছু কথা।


 দেশবাসীর উদ্দেশে খোলা চিঠিতে তিনি বলছিলেন, "পরিযায়ী শ্রমিকরা খুবই কষ্টের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। ক্ষুদ্র শিল্পের কর্মী, কারিগর, হকার-সহ আমার দেশের একাংশের মানুষ খুব কষ্টের মধ্যে রয়েছেন৷।" তিনি বলেন, "দেশের মানুষের কষ্ট লঘু করত, সমস্যা সমাধানে আমরা এক জোট হয়ে কাজ করছি। আমরা দিনরাত এক করে কাজ করছি।"


আরও পড়ুন: পুড়ে ছাই চিনার পার্কের আখতার বস্তি, লকডাউনে ফের গৃহহীন প্রায় ৫০০ মানুষ


কিন্তু সেদিন পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য প্রধানমন্ত্রী কোনও আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করেননি। এবার তারই দাবি তুললেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, "পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য ১০ হাজার টাকা করে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হোক।  সেই টাকা প্রধানমন্ত্রীর রিলিফ ফান্ড থেকে দেওয়া হোক