নিজস্ব প্রতিবেদন:  ২০১৬-২০২০ সাল। চার বছরে কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের  র্যাঙ্কিংয়ে ১১ থেকে ৫০-এ গিয়ে ঠেকল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়!
সাম্প্রতিককালে একাধিক ইস্যুতে বিতর্ক উঠেছে বিশ্বভারতীতে। এবার এনআইআরএফ র্যাঙ্কিং-এ আরও পিছিয়ে গেল বিশ্বভারতী। 

COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

NIRF র্যাঙ্কিং অনুসারে বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা

কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের র্যাঙ্কিং (এনআইআরএফ)-এ চলতি বছরে প্রথম ১০০-র মধ্যে রয়েছে আইআইটি খড়্গপুর, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়-সহ রাজ্যের সাতটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
গত বছর এই তালিকায় ৩৭ নম্বরে নাম ছিল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের। এবার তা পিছিয়ে ৫০। তাদের পয়েন্ট ৪৬.৫৮।
NIRF এর তালিকা অনুসারে বিশ্বভারতীর পরিসংখ্যান বলছে
২০১৬ সালে এনআইআরএফ-এর রিপোর্ট অনুসারে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান ছিল ১১তে
২০১৭ সালে তা পিছিয়ে হল ১৯
২০১৮ সালে ৩১
২০১৯ সালে ৩৭
এবছর অর্থাত্ ২০২০ সালে তা পিছিয়ে হল ৫০

বাংলার কোন বিশ্ববিদ্যালয় কে কোথায়?


বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে প্রথম ১০০-য় রয়েছে রাজ্যের পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়। যাদবপুর, কলকাতা, বিশ্বভারতী, কল্যাণী এবং বর্ধমান। যাদবপুর পঞ্চমে। কলকাতা সপ্তমে। যাদবপুর গত বছরের তুলনায় এক ধাপ এগিয়েছে, অন্যদিকে কলকাতা দু’ধাপ নেমে গিয়েছে। কিন্তু বিশ্বভারতী পিছিয়ে অনেকটাই।

বর্তমানে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুত্ চক্রবর্তী। তিনি ২০১৮ সালের ৮ নভেম্বর উপাচার্য পদে দায়িত্ব নেন।  তাঁরই আমলে কেন এই অধঃপতন?
বিশ্বভারতীর কর্মী, অধ্যাপকরা এর দায়ভার ঝেড়ে ফেলার চেষ্টা করছেন। বিশ্বভারতীর এক অধ্যাপক কিশোর ভট্টাচার্য বলছেন, "উপাচার্য সুশান্ত দত্ত গুপ্তের পর দীর্ঘদিন বিশ্বভারতীতে কোনও স্থায়ী উপাচার্য ছিলেন না। বিদ্যুত্ চক্রবর্তী উপাচার্য হিসাবে দায়িত্বগ্রহণ করার পর সর্বোতভাবে চেষ্টা করছেন। নিশ্চয়ই আগামী দিনে আমরা এগিয়ে যেতে পারব।"

কী বলছেন উপাচার্য?
এপ্রসঙ্গে কোনও প্রতিক্রিয়াই দিতে চাননি বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুত্ চক্রবর্তী। ২০১৮ সালে তিনি দায়িত্ব নেন স্থায়ী উপাচার্য হিসাবে। এরপর ২০১৯ ও ২০২০ রিপোর্ট, তাতে এক ধাক্কায় এতটা পিছল বিশ্বভারতী। তিনি কী দায় এড়াতে পারেন? তবে ছাত্রছাত্রীরা মনে করছেন আগামীদিনে তাঁদের বিশ্ববিদ্যালয় ঠিকই এগিয়ে যাবে।