নিজস্ব প্রতিবেদন : নদীয়ার গয়েশপুরের বিজয় শীলের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক টানাপোড়েন চরম আকার নেয়। মৃত বিজয় শীল বিজেপি কর্মী এই দাবি তুলে সোমবার বিজেপি সকাল ৬টা থেকে ১২ ঘণ্টা কল্যাণী এবং গয়েশপুর বনধের ডাক দিয়েছে। কিন্তু এই বনধকে ঘিরে তেমন সাড়া পাওয়া যায়নি। কল্যানী ও গয়েশপুরে সব দোকানপাটই খোলা। রাস্তায় নিত্যদিনের মত গাড়ি চলছে। বিজেপির জেলা, রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব দাবি করেছে বিজয় শীল তাঁদের দলের একনিষ্ঠ কর্মী। একই দাবি তৃণমূলেরও। দুটি রাজনৈতিক দল তাঁদের কর্মী বলে দাবি করলেও বিজয় শীলের পরিবারের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে তাঁদের ছেলে বিজয় কোনওদিন রাজনীতি করেনি। কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বিজয়ের যোগাযোগ ছিল না।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কিন্তু পদ্মশিবির নাছোড়বান্দা বিজয় শীল তাঁদের দলের কর্মী এই দাবিতে। বিজেপি সরাসরি তৃণমূলের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ এনেছে এই ঘটনায়। এই ইস্যুতে ১২ ঘণ্টা বনধের পাশাপাশি সোমবার থানায় থানায় বিক্ষোভ কর্মসূচি নেয় বিজেপি। কল্যাণী, গয়েশপুরের পাশাপাশি হুগলির ডানকুনি থানাতেও মিছিল করে গিয়ে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি কর্মীরা। যুবকের মৃত্যুর সঠিক তদন্ত দাবি করে দোষীদের শাস্তীর দাবিতে বিক্ষোভ চলে। বিজয় শীলের মৃত্যুর ঘটনায় থমথমে গোটা গয়েশপুর এলাকা। এলাকায় যথেষ্ট পুলিস মোতায়েন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে মিছিল করার অপরাধে কল্যাণী থেকে ৬ জন বিজেপি কর্মীকে আটকও করেছে পুলিস।


শনিবার রাতে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন বিজয় শীল। এরপর আর ফেরেননি। রবিবার সকালে এলাকার গয়েশপুর শ্মশানের আমবাগানে বিজয় শীলের দেহ ঝুলতে দেখেন এলাকাবাসী। এরপরই পরিবারের তরফ থেকে অভিযোগ করা হয়, বেশ কয়েকজন তাঁকে রোজই প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিত। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, বিজয় এলাকায় পরিচিত। কারণ তিনি রান্নার গ্যাস সরবরাহের কাজ করতেন। কোনও রাজনীতি করতেন কিনা তাঁদের জানা নেই। তবে এলাকার মানুষ নিশ্চিত পরিবারে করা অভিযোগের ভিত্তিতে রাজনৈতিক দলগুলো ফায়দা তোলার চেষ্টা করছে।


এদিকে পুলিস বিজয় শীলের মৃত্যুর ঘটনায় মুখে কুলুপ এঁটেছে। সূত্রের খবর, পুলিসের প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে এটা আত্মহত্যা। এই ঘটনায় এখনও কাউকে গ্রেফতার বা আটক করা হয়নি।


আরও পড়ুন, অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও টাকা, ৪ বছরেও তৈরি হয়নি ঘর, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা নিয়ে দুর্নীতি!