নিজস্ব প্রতিবেদন- বিশ্ব জলাভূমি দিবস (World Wetlands Day)। ২ ফেব্রুয়ারি দিনটি বিশ্বজুড়ে উদযাপিত হয়। মানব সভ্যতা ও পৃথিবীর জন্য জলাভূমি কতটা গুরুত্বপূর্ণ, সেই ব্যাপারে সচেতনতা বাড়াতেই এই দিনটিকে জলাভূমি দিবস হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। জলাভূমি যে কোনও রকমের হতে পারে। প্রাকৃতিক বা কৃত্রিম। তবে দুধরনের জলাভূমিই কিন্তু মানব সভ্যতা ও প্রকৃতির জন্য জরুরি। জলাভূমি শুধুমাত্র বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্য রক্ষাতেই ভূমিকা রাখে না, পাখি ও বিভিন্ন প্রজাতির উপকারী পতঙ্গের প্রজনন ও বংশবৃদ্ধিতেও অবদান রাখে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

অনেক সময়ই জলাভূমি বন্য জীবনজন্তুদের (Wildlife) খাবারের উত্স হয়ে ওঠে। কিন্তু আধুনিক জীবনে জলাভূমির প্রয়োজনীয়তা আমরা অনেকেই ভুলতে বসেছি। মল, অ্যাপার্টমেন্ট তৈরি করে বসতি গড়ার নেশায় নির্বিচারে চলছে জলাভূমি ধ্বংস। জলাভূমি রক্ষা তো দূর, অনেক সময় চোখের সামনে প্রকৃতির এই সৃষ্টি নষ্ট হতে দেখলেও আমরা প্রতিবাদ করি না। তবে এবার হয়তো এই স্বভাবে বদল আনার দিন এসেছে। কারণ, মানব সভ্যতার অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই শুরু হয়েছে। জলাভূমি ধ্বংস অচিরেই মানব সভ্যতাকেও বিনাশের মুখে ফেলতে পারে। সেটা হয়তো এখন বোঝার সময় এসেছে। 


আরও পড়ুন-  জাঁকিয়ে শীত রাজ্যে, সপ্তাহান্তে বৃষ্টির পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের


জলাভূমি রক্ষার তাগিদ রয়েছে আরও একটি কারণে। সারা বিশ্বের ১২ শতাংশ বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির পাখি জলাভূমির উপরই নির্ভরশীল। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ১৪৬ প্রজাতির পাখি জলাভূমি না থাকলে অদূর ভবিষ্যতে প্রকৃতি থেকে উধাও হয়ে যাবে। জলাভূমি রক্ষার জন্য তাই এই রাজ্যেও বন দফতর ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মীরা একজোট হয়েছেন। তাঁদের পূর্ণ সমর্থন ও সহযোগিতা করেছেন পাখিপ্রেমীরাও। ১২ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত গোটা রাজ্যে ৫৪টি জলাভূমিতে পরিযায়ী পাখিদের গণনার কাজ চলেছে। জানা গিয়েছে, চলতি বছর এক লাখ ২৩ হাজার ৬৭৫টি পরিযায়ি পাখি (Migratory Birds) রাজ্যের বিভিন্ন জলাভূমিতে এসেছে। ৬৫ প্রজাতির পাখিদের দেখা মিলেছে রাজ্যের বিভিন্ন দিকে ছড়িয়ে থাকা জলাভূমিতে।