নিজস্ব প্রতিবেদন: জেলার ২ তৃণমূল বিধায়ক ও ১ প্রাক্তন বিধায়কের টিকা নেওয়া নিয়ে বিতর্ক কিছু কম হয়নি। অথচ দিনের শেষে তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও ভ্যাকসিন না নিয়েই ফিরতে হল ১৫ জন স্বাস্থ্যকর্মীকে! কাঠগড়ায় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শনিবার দিনভর রাজ্য় জুড়ে চলল করোনা টিকাকরণ কর্মসূচি। কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ২০৭টি কেন্দ্রে ভ্যাকসিন নিলেন চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্য়কর্মীরা। কিন্তু বাদ পড়লেন বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে কর্মরত ১৫ জন স্বাস্থ্যকর্মী। কেন? যাঁরা ভ্য়াকসিন পাননি, তাঁদের অন্যতম বর্ধমান মেডিক্য়াল কলেজে স্টাফ নার্স অনিতা মজুমদার। ওই নার্সের দাবি, গতকাল স্বাস্থ্য দফতর থেকে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তারপরেও একাধিকবার কথা হয়। শনিবার সকালে যথারীতি নিয়ম মেনে যাবতীয় নথি সঙ্গে নিয়ে বর্ধমান মেডিক্য়াল কলেজেই ভ্য়াকসিন নিতে যান ওই ১৫ জন স্বাস্থ্যকর্মীরা। কিন্তু তাঁদের জানিয়ে দেওয়া হয়, ভ্যাকসিন প্রাপকদের প্রথম তালিকায় নাম নেই! ভ্যাকসিন দেওয়া হবে পরেরবার! অথচ ওই ১৫ জন স্বাস্থ্যকর্মীদের সকলেই প্রথম দিন থেকে রোগীদের পরিষেবা দিয়ে আসছেন। কী আর করবে! টিকা না নিয়েই ফিরতে হয় তাঁদের।


আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে দুর্ভোগ অব্যাহত, বারাসতে ২ রোগীকে ফিরিয়ে দিল নার্সিংহোম


উল্লেখ্য, জেলা স্বাস্থ্য দফতরের টিকাকরণের তালিকায় নাম ছিল আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তীর। তবে বিতর্কের মুখে পড়ে শেষপর্যন্ত অবশ্য ভ্যাকসিন নেননি তিনি। এই বিতর্কের মাঝেই কিন্তু প্রথম দিনেই  Covid Vaccine  নেন কাটোয়ার পুরপ্রশাসক ও বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় (Rabindranath Chatterjee)। এমনকী, প্রথম দিনেই টিকা নিয়েছেন বর্ধমানেরই আর এক তৃণমূল বিধায়ক সুভাষ মণ্ডল ও প্রাক্তন বিধায়ক বনমালী হাজরা। বর্ধমান জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রণব  রায় সাফাই দিয়েছেন, যে জনপ্রতিনিধিরা টিকা নিয়েছেন, তাঁরা রোগীকল্যাণ সমিতির সদস্য। তাঁরা টিকা পেতেই পারেন।