নিজস্ব প্রতিবেদন : আবারও বড়সড় ভাঙনের আশঙ্কা তৃণমূল শিবিরে। সূত্রের খবর জেলা পরিষদ সদস্য, গ্রাম পঞ্চায়ের প্রধান, ব্লক সভাপতি সহ এদিন প্রায় ১৫০ জন তৃণমূল নেতা বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন। বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরেই তাঁরা গেরুয়া শিবিরে নাম লেখাতে চলেছেন বলে জানা যাচ্ছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আজ দুপুর ২টোয় মহিষাদল বিধানসভা এলাকার দ্বারিবেরিয়াতে বিজেপির জনসভা রয়েছে। দলীয় সূত্রে খবর, সেই জনসভাতেই যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এই ১৫০ জন তৃণমূল নেতার। সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন শুভেন্দু অধিকারী ও বাবুল সুপ্রিয়। রাজনৈতিক মহলের মতে, শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যাওয়ার পর থেকেই পূর্ব মেদিনীপুরে তৃণমূলে ভাঙন অব্যাহত। একে একে শুভেন্দু অনুগামীরা সবারই পদ্মশিবিরে নাম লেখাচ্ছেন। বিজেপিতে যোগদানের হিড়িকে কার্যত ধস নেমেছে যেন ঘাসফুল শিবিরে।


উল্লেখ্য, গতকালই অধিকারী পরিবারে ফের পদ্ম ফুটেছে। কাঁথির সভায় দাদা শুভেন্দুর হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন ভাই সৌমেন্দু অধিকারী। তাঁর সঙ্গেই দলবদল করেন কাঁথি পুরসভার ১৫ জন বিদায়ী কাউন্সিলর ও নন্দীগ্রামের প্রাক্তন বিধায়ক ফিরোজা বিবিও। প্রসঙ্গত, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কটাক্ষকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ করে ব্যারাকপুরের রোড শো থেকেই শুভেন্দু হুঙ্কার দিয়েছিলেন, 'এখনও তো বাসন্তী পুজোটা আসেনি, রামনবমী আসেনি। রামনবমীটা আসতে দিন। আমার বাড়ির লোকেরাও পদ্ম ফোটাবে। শুধু আমার বাড়ির লোক কেন? হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটে ঢুকেও পদ্ম ফুটিয়ে আসব।' তারপরই ৩ দিনের মাথায় সৌমেন্দুর বিজেপিতে যোগদান।


বলে রাখি, আসন্ন বিধানসভা ভোটে দুই মেদিনীপুর মিলিয়ে বিজেপি ৩৫টি আসন জিতবে বলে দাবি করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর কথায়, "খড়্গপুরের মাটি আর জঙ্গলমহলের মাটি হাত মিলিয়েছি। যেতে তোমাকে হবেই। পদ্ম ফুটিয়ে আমি ঘুমোতে যাব।"


আরও পড়ুন, রাজ্যে শুরু বহু প্রতীক্ষিত করোনার ভ্যাকসিনের ড্রাই রান, প্রথম মহড়া হাসিরানি সরকারের