নিজস্ব প্রতিবেদন: বাবার অত্যাচারে দুবার কেরোসিন তেল খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করল মেয়ে। ১৬ বছরে মেয়ে মাম্পি নায়েক বাবার অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে স্থানীয় সেচ্চাসেবী সংগঠনের দ্বারস্থ হয়। সে চায় তারা বাবা শংকর নায়েকের উপযুক্ত শাস্তি হোক। এই ঘটনা ঘটেছে মালবাজার মহকুমার ওদলাবাড়ি ডিপো পাড়া এলাকায় । 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- চোলাইয়ের ভাটিতে ঢুকে চোলাই সাবাড় করে বেসামাল দাঁতাল


মাম্পি জানায় গত দেড় বছর আগে তার মা বুনু নায়েক বাড়ি ছেরে ভিন্ন রাজ্যে চলে যায়। তারপর থেকে বাধ্য হয়ে আমাকে স্কুলের পড়াশুনা ছেড়ে সংসারের কাজ করতে হয়। কারণ বাড়িতে বাবা ছাড়াও আরাও দুই ভাই আছে মাম্পির। বাড়িতে দুই ভাই-কে দেখভালের পাশাপাশি বাড়ির রান্নাবান্নাও তাকেই করতে হয়। বাবা এলাকার একটি মিলে শ্রমিকের কাজ করে। সব ঠিকঠাকই চলছিল। কিন্তু বিগত কয়েক মাস ধরে বাবা সংসারে ঠিক মতো টাকা  দিচ্ছিল না বলে জানিয়েছে মেয়ে মাম্পি। সন্ধ্যা হলেই মদ্যপান করে বাড়ি আসত শংকর, এমনও অভিযোগ করেছে ওই কিশোরী। 


আরও পড়ুন- আগামী ৪৮ ঘণ্টায় ভারী বৃষ্টির সতর্কতা, বাতিল বহু ট্রেন, বদলে গেল সময়সূচি


সংসার চালানোর জন্য তাই বাধ্য হয়ে অন্যের বাড়িতে কাজ করতে শুরু করে ১৬ বছরের মেয়ে। কাজ করে যে টাকা রোজগার হয় তা টাকা দিয়েই কোনও মতে সংসার চালে। মাম্পির অভিযোগ, তার বাবা মাঝে মধ্যেই মদ্যপান করে এসে  টাকা চাইত। আর টাকা না দেওয়ায় তাকে মারধর করা হত। মাম্পি এও অভিযোগ করে, টাকা না পেয়ে তার ভাইকেও মারধর করা হয়।


আরও পড়ুন- পুজোয় বইয়ের স্টল থেকে পশ্চিমবঙ্গে NRC-র পক্ষে প্রচার চালাবে বিজেপি


মাম্পি নায়েকের অভিযোগ, “গত কয়েকদিন আগে আমাকে লাথি মেরে ফেলে দেয়। গত কালও আমাকে মেরেছে। তাই বাবার অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে কেরোসিন খেয়ে মরতে চেয়েছিলাম আমি।   তাই আজ বাধ্য হয়ে এলাকার সেচ্চাসেবী সংগঠনের কাছে যাই। যাতে বাবার অত্যাচার বন্ধ হয়।”


যদিও বাবা শংকর নায়েক তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগই অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, “আমি আমার ছেলে মেয়েকে মারধর করি নাই। ওরা মিথ্যা কথা বলছে"। এলাকার দুই সেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা ইতি মধ্যেই মালবাজার পুলিসকে সমস্ত বিষয়টি জানিয়েছেন।