সম্প্রীতির বার্তা, হিন্দু দিদির বিয়েতে পাত পেড়ে খেল আমন-চাঁদনি খাতুন-সহ ১৭০ জন অনাথ খুদে
শেষ হয়নি এখানেই, ভাইদের জন্য অনাথ আশ্রমে পৌঁছেছে তত্ত্ব। সেখানে রয়েছে ওদের প্রয়োজনীয় সমস্ত জিনিস।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বাড়ির কাছেই অনাথ আশ্রম। যাতায়াতের পথে অনাথ আশ্রমের শিশুদের সঙ্গে পরিচয়। এরপর ধর্মের বেড়াজাল পেড়িয়ে তা গড়িয়েছে দিদি-ভাইয়ের সম্পর্কে। সেই দিদির বিয়েতেই আমন্ত্রিত হয়ে এল অনাথ আশ্রমের শুকুর আমন, চাঁদনি খাতুনের মতো ১৭০ জন শিশু। আমন্ত্রণ শুধু বিয়ের দিনেই নয়,সেই আইবুড়ো ভাতের দিন থেকেই আশ্রমের শিশুরা ব্যস্ত দিদির বিয়েতে। শেষ হয়নি এখানেই, ভাইদের জন্য অনাথ আশ্রমে পৌঁছেছে তত্ত্ব। সেখানে রয়েছে ওদের প্রয়োজনীয় সমস্ত জিনিস।
আরও পড়ুন: মনের জোরেই জয়! ক্যান্সার রুখে দিলেন ৯৮ বছরের 'তরুণী', মিরাকেল বলছেন সাগর দত্তের চিকিৎসকরা
অনাথ আশ্রমে বাস, পরিবার পরিজনের বন্ধনের যে স্বাদ, বাড়ির আনুষ্ঠানে যে আনন্দ,সব কিছু থেকে দূরে অন্য এক জীবনেই অভ্যস্ত এই খুদেরা। সেই অন্য জীবনকে, যে জীবন চেনে না বাড়ির স্নেহ-পারিবারিক সম্পর্কের গাঢ়ত্ব। তবে পরিবারের স্বাদ মিলেছে দিদির স্নেহে। দিদি বলেছে ভাইবোনেরা বিয়েতে না এলে তিনিও বিয়ে করবেন না। তাই সেই আইবুড়ো ভাতের দিন থেকেই দিদির বাড়িতেই যাতাযাত করছে খুদেরা।
আরও পড়ুন: নিজের জেলাই পোস্টিং শিক্ষকদের, সিদ্ধান্তের নেপথ্যে 'দিদিকে বলো'
অনাথ আশ্রম কর্তৃপক্ষের কাছে মেয়ের বাড়ির আবেদন ছিল, বিয়ের অনুষ্ঠানে যদি আশ্রমের আবসিকদের আসতে অনুমতি দেওয়া হয়। বাধা দেয়নি আশ্রম কর্তৃপক্ষ। আশ্রমের ছেলে মেয়েরা দিদিকে গিয়ে দেখেছে বিয়ের সাজে। তবে দিদির আক্ষেপ থেকেই যাচ্ছে। বিয়ের লগ্ন রাত ১ টায়। তখন অনুমতি নেই আশ্রমের বাইরে থাকার। তাই আগে থেকেই বিয়ের অনুষ্ঠান উপভোগ করে ফিরল ১৭০ জন আবাসিক। সব মিলিয়ে এই অনুষ্ঠান আনন্দের তো বটেই। তেমনই সম্প্রীতিরও বার্তা দিয়েছে সমাজকে।