নিজস্ব প্রতিবেদন : ব্যাঙ্কে রাখা ফিক্সড ডিপোজিট থেকে অনলাইনে লোন নিল কে বা কারা? ম্যাচিউরিটির টাকা তুলতে এসে মাথায় হাত ফিক্সড ডিপোজিটের মালিকের! ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির চন্দননগরের বড়বাজারের SBI শাখায়। প্রতারণার শিকার মানকুন্ডুর বাসিন্দা শ্যামল ঘোষ। তাঁর ৩ লাখ টাকা ফিক্সড ডিপোজিটের মধ্যে আড়াই লাখ টাকা-ই গায়েব!


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জানা গিয়েছে, মানকুন্ডুর বিদ্যাসাগর কলোনির বাসিন্দা শ্যামল ঘোষাল পেশায় মার্বেল মিস্ত্রি। ২ বছর আগে মেয়ের বিয়ের জন্য চন্দননগরের বড়বাজারের SBI শাখায় ৩ লাখ টাকা ফিক্সড ডিপোজিট করেছিলেন। যার ম্যাচিউরিটি ছিল ৬ ডিসেম্বর। বৃহস্পতিবার সেই টাকা তুলতে এসে মাথায় হাত পড়ে শ্যামলবাবুর। ক্যাশ কাউন্টারে যিনি ছিলেন, তিনি জানান এই টাকা তোলা যাবে না। কারণ, ফিক্সড ডিপোজিট থেকে আড়াই লাখ টাকা-ই অনলাইনে লোন নেওয়া হয়ে গিয়েছে।


যা শুনে কার্যত আকাশ থেকে পড়েন শ্য়ামল ঘোষাল। সঙ্গে সঙ্গেই ক্যাশ কাউন্টারে জানান যে, তিনি কোনও লোন নেননি। অনলাইনে লোন কীভাবে নিতে হয় তা তাঁর জানাও নেই। মিস্ত্রির কাজ করে মেয়ের বিয়ের জন্য এই টাকা সঞ্চয় করেছিলেন তিনি। কিন্তু ব্যাঙ্কের কাউন্টার থেকে তাঁকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয় যে, এই বিষয়ে তাঁরা কিছু বলতে পারবেন না। এরপর শ্যামলবাবু ব্রাঞ্চ ম্যানেজারের সঙ্গে কথা বলেন। ম্যানেজারও বিষয়টি দেখে জানান যে, তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে আড়াই লাখ টাকা লোন নেওয়া হয়েছে। তাই ম্যাচিউরিটির টাকা এই মুহূর্তে ফেরত দেওয়া যাবে না। 


সবমিলিয়ে অথৈ জলে পড়েন শ্যামলবাবু। ব্য়াঙ্কও তাঁর কথা বুঝতে চাইছে না, তাঁর সঙ্গে সহযোগিতা করছে না বলে অভিযোগ। এই বিষয়ে চন্দননগর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিস তদন্ত শুরু করেছে।


আরও পড়ুন, Abortion case in Kolkata High Court: ধর্ষণে 'গর্ভবতী' নাবালিকা! হাইকোর্টের দ্বারস্থ বিধ্বস্ত বাবা-মা, সম্মতি মিললেই গর্ভপাত


Pingla Missing Case:'প্রেমিককে বিয়ে করেছি', বাবাকে ফোনে জানালেন পিংলার 'বেপাত্তা' গৃহবধূ


Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App