নিজস্ব প্রতিবেদন: স্থানীয় বাসিন্দাদের দফায় দফায় বিক্ষোভের জের? ঝাড়গ্রামে খেলার মাঠে যুবক খুনে অবশেষে দু'জনকে গ্রেফতার করল পুলিস। ধৃতদের ৮ দিনের পুলিসি হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত। আর এক অভিযুক্ত এখনও অধরা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: উলেন রায়ের দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত নিয়ে টানাপোড়েন অব্যাহত, ফের আদালতে পুলিস


ঘটনার সূত্রপাত মঙ্গলবার দুপুরে। ঝাড়গ্রামের (Jhargram)বাছুরডোবা এলাকায় পুরনো বিবাদকে কেন্দ্র গুলি চলে খেলার মাঠে। অভিযোগ, পুলিসকর্মী বিশ্বজিৎ গুরুং নামে পিস্তল বের করে এক যুবককে লক্ষ্য করে প্রথমে গুলি চালায়। এরপর ওই যুবককে ভোজালি দিয়ে কোপানো হয়। রক্তাক্ত অবস্থায় আক্রান্ত যুবককে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় ঝাড়গ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে(Jhargram Super speciality Hispital)। সেখান থেকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে(Midnapore Medical college and Hospital)। শেষপর্যন্ত কলকাতায় নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন গুলিবিদ্ধ যুবক। এরপরই পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। অভিযুক্তের বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়ে আগুন লাগিয়ে দেন উত্তেজিত জনতা।


আরও পড়ুন: অমূল্য মাইতির বিষয়টি দলগতভাবেই মিটিয়ে ফেলা শ্রেয় : নির্মল, কটাক্ষ বিজেপির


অভিযুক্তকে গ্রেফতারের দাবিতে বুধবার সকাল থেকে ফের পথ নামেন এলাকার মানুষ। দফায় দফায় পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ চলে স্থানীয় রাধানগর মোড় এলাকায়। দাবি ওঠে পুলিস সুপারকে অপসারণেরও। ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিসবাহিনী। সূত্রের খবর, এই ঘটনায় বিশ্বজিৎ গুরুং-সহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয় থানায়। বিশ্বজিৎ-সহ দু'জনকে পুলিশকে গ্রেফতার করেছে। ঘটনার পর গাড়িতে চেপে পালিয়ে যায় মূল অভিযুক্ত বিশ্বজিৎ। সেই গাড়ির চালক ছিল শুভঙ্কর। তাকে মানিকপাড়া আর বিশ্বজিৎকে হাতিবাড়ি মোড় থেকে গ্রেফতার করা হয়।