নিজস্ব প্রতিবেদন : মালদায় গ্রেফতার বিজেপির ২ সাংসদ। বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু ও নিশীথ প্রামাণিককে গ্রেফতার করেছে পুলিস। আজ মালদার ২ ক্ষতিগ্রস্ত স্টেশন হরিশরন্দ্রপুর ও ভালুকা পরিদর্শনে যাচ্ছিলেন ২ বিজেপি সাংসদ। পুলিসের অুনমতি ছাড়াই স্টেশনগুলি দেখতে যাওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে দুজনকে। ভালুকা স্টেশন যাওয়ার পথেই মালদা উত্তরের সাংসদ খগেন মুর্মু ও কোচবিহারের সাংসদ নিশীথ প্রামাণিককে গ্রেফতার করে পুলিস।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জানা গিয়েছে, ভালুরা স্টেশনে যাওয়ার পথে বিজেপি সাংসদদের বাধা দেয় পুলিস। কিন্তু পুলিসের বাধার মুখেও অটল থাকেন বিজেপি সাংসদরা। তাঁরা তখন রাস্তায় বসে পড়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। এরপরই বিজেপি সাংসাদদের গ্রেফতার করে ইংরেজবাজার থানার পুলিস। গ্রেফতার করে বিজেপি সাংসদদের থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। প্রায় এক ঘণ্টার বেশি সময় ইংরেজবাজার থানায় গ্রেফতার করে রাখা হয়েছিল দুই সাংসদকে। পরে শর্তসাপেক্ষে জামিন পান গ্রেফতার হওয়া বিজেপির ২ সাংসদ খগেন মুর্মু ও নিশীথ প্রামাণিক।


এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে উত্তর মালদার সাংসদ খগেন মুর্মু তোপ দাগেন, এলাকা পরিদর্শনের আর্জি জানিয়ে জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারকে আবেদন জানানো হয়েছিল। কিন্তু পুলিস অনুমতি দেয়নি। উপরন্তু ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে যেতে গিয়েও পথ আটকায় এবং গ্রেফতার করে। এতেই বোঝা যাচ্ছে রাজ্যের কী পরিস্থিতি! কোচবিহারের সাংসদ নীশিথ প্রামাণিক অভিযোগ করেন, ঘটনার পিছনে রাজ্য সরকারের মদত রয়েছে। তাই দুষ্কৃতী আক্রমণকে প্রতিরোধ করেনি রাজ্যের পুলিস। পুরো বিষয়টি লোকসভার অধিবেশনে তুলবেন বলে জানান তিনি।


আরও পড়ুন, রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি নিয়ে মুখ খুললেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়


প্রসঙ্গত, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে গত শুক্রবার থেকে বিক্ষোভের আঁচ ছড়িয়ে পড়ে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায়। বিক্ষোভকারীদের তাণ্ডবে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় মালদার হরিশচন্দ্রপুর ও ভালুকা স্টেশন দুটি। স্টেশন দুটিতে ভাঙচুর চালায় দুষ্কৃতীরা। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। তছনছ দশা হয় স্টেশন দুটির। উল্লেখ্য, রেলপথে উত্তরবঙ্গের সঙ্গে সংযোগ রক্ষায় মালদার এই স্টেশন দুটির গুরুত্ব অপরিসীম। রেল আধিকারিকদের মতে হরিশ্চন্দ্রপুর ও ভালুকা স্টেশনের যা অবস্থা, তা পুরোপুরি মেরামত করতে এক মাসেরও অধিক সময় লাগবে। ফলে হরিশ্চন্দ্রপুর ও ভালুকা স্টেশন দুটি কবে পূর্বের অবস্থায় ফিরবে? কবে রেল পরিষেবা স্বাভাবিক হবে? সেটাই এখন প্রশ্নের মুখে। যদিও, গতি নিয়ন্ত্রণ করে কলকাতা থেকে নিউ জলপাইগুড়ির মধ্যে আজ থেকে ৪ জোড়া ট্রেন চালাবে পূর্ব ও উত্তর - পূর্ব রেল।