নিজস্ব প্রতিবেদন: মালদহের কালিয়াচককাণ্ডে নয়া মোড়। পরিবারের চার সদস্যকে খুন করে জলের ট্যাঙ্কে পুঁতে রাখার অভিযোগে ২ ভাইকে আটক করল পুলিস। বাড়ির জলের ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার হল কঙ্কাল। ঘটনাস্থলে রাজ্যের মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জানা গিয়েছে, মৃতের হল আলেক নুর বেওয়া, ইরা বিবি, রিমা খাতুন ও জাওয়াদ আলি। সকলেরই বাড়ি কালিয়াচকের পুরাতন ১৬ মাইল এলাকায়। এদিন সকালে বাড়ি জলের ট্যাঙ্কে থেকে ওই চারজনের দেহ উদ্ধার করে পুলিস। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, কয়েক মাস আগে তাঁদের খুন করে দেহ পুঁতে রাখা হয়েছিল জলের ট্যাঙ্কে।


আরও পড়ুন: বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে


কীভাবে দেহগুলির হদিশ মিলল? প্রতিবেশীদের দাবি, গত কয়েক মাস ধরে  নুর বেওয়া, ইরা বিবি, রিমা খাতুন ও জাওয়াদ আলিকে এলাকায় দেখা যাচ্ছিল না। বাড়ির ছোট ছেলে মহম্মদ আসিফ ওরফে হান্নান স্কুলের গণ্ডিও পেরোননি। ওই বাড়িতে থাকতেন তিনি। পরিবারের বাকিরা কোথায়? জানতে চাইলেই আসিফ এড়িয়ে যেতেন বলে অভিযোগ। এমনকী, বাড়ি কাউকে ঢুকতেও দিতেন না!   গত কয়েক দিন ধরে আসিফের গতিবিধি দেখে সন্দেহ হচ্ছিল স্থানীয় বাসিন্দাদের। এদিন সকালে বাড়ির জলের ট্যাঙ্কে একজনের মৃতদেহ ভাসতে দেখেন তাঁরা। খবর দেওয়া হয় থানায়। শেষপর্যন্ত ওই জলের ট্যাঙ্কে পরিবারের চারজনেরই মৃতদেহ সন্ধান পায় পুলিস। এদিকে ততক্ষণে পালিয়েছে অভিযুক্ত মহম্মদ আসিফ।


আরও পড়ুন: জঙ্গলের কোর এরিয়ার নদী থেকে বেআইনি ভাবে বালি-পাথর তোলা রুখতে গঠিত হল টাস্ক ফোর্স


জানা গিয়েছে, ওই বাড়ির বড় ছেলে মহঃ আরিফ আবার চারমাস ঘরে নিখোঁজ ছিলেন। তবে,  প্রতিবেশীদের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল তাঁর। শুক্রবার বাড়ি ফিরেছে আরিফ। পুলিসকে তিনি বয়ান দিয়েছেন, ভাই আসিফ প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছিল। সেকারণেই বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন। আসিফই পরিবারের বাকি চার সদস্য়কে খুন করে জলের ট্যাঙ্কে পুঁতে রেখেছিল।  পুলিস সূত্রে খবর, ভাইয়ের বিরুদ্ধে যিনি খুনের অভিযোগ করেছেন, সেই মহম্মদ আরিফেরও এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না। দু'জনকেই আটক করা হয়েছে। বাড়িটি ঘিরে রেখেছে পুলিশ। বেলার দিকে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে চারটি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।