বিক্রম দাস: শক্তিগড়ে কয়লা ব্যবসায়ী রাজু ঝা খুনের তদন্তে সামনে  এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। রাজু ঝা খুনের পিছনে হাত কি আবদুল লতিফের-ই? ক্রমশ গাঢ় হচ্ছে সন্দেহ। কেন? কারণ, ৩০ তারিখ দুর্গাপুরের একটি হোটেলে কোনও একটি বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি হয় রাজু  ঝা ও আবদুল লতিফের। তারপর ১ তারিখ, রাজু ঝা ও আবদুল লতিফ দুর্গাপুরের হোটেল থেকে এক গাড়িতেই বের হন। হোটেল থেকে সঙ্গে দুটো ব্যাগ নিয়ে বের হন তাঁরা। কিন্তু শক্তিগড়ে শুটআউটের পর থেকে রহস্যজনভাবে ব্যাগ দুটি বেপাত্তা। হদিশ নেই আবদুল লতিফেরও। তাঁর এখনও খোঁজ পায়নি পুলিস। ওদিকে শুটআউটের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতারও করেনি পুলিস।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

প্রসঙ্গত, একটি ভাইরাল ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, শক্তিগড়ে শ্যুটআউটের ঘটনার সময়ে রাজু ঝায়ের গাড়িতেই ছিলেন আব্দুল লতিফ। যদিও সেই ভিডিয়ো-র সত্যতা যাচাই করেনি জি ২৪ ঘণ্টা। ভাইরাল ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, যে সাদা গাড়িটিতে ছিলেন রাজু ঝা, সেই গাড়ির সামনে দাঁড়িয়েই ফোনে কথা বলছেন এক ব্যক্তি। পরনে সাদা জামা ও নীল প্যান্ট। যাঁরা চিনতেন, তাঁদের দাবি, ওই ব্যক্তি আব্দুল লতিফই! খুনের ঘটনায় তদন্তে উঠে এসেছে নিহত রাজু ঝা-এর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল অনুব্রত  ঘনিষ্ঠ আবদুল লতিফের। 


কে এই আবদুল লতিফ? কয়লা পাচারকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত অনুপ ঝা বা লালার একসময়ের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিল আবদুল লতিফ। কয়লা পাচার দুর্নীতির তদন্তে যখন সিবিআই ও ইডি তত্পর হয়ে ওঠে, তখন ২০২১ সালের পর থেকে নিষ্ক্রিয় হয়ে যায় লালা ও লালার সহযোগী সিন্ডিকেট। সেই সময় আবদুল লতিফ লালার সিন্ডিকেটের সঙ্গে গাঁটছড়া ছিন্ন করে, রাজু ঝা-এর সঙ্গে যোগ দেয়। কারণ, ২০২১-এর পর  থেকেই রাজু ঝা লিগ্যাল টেন্ডারগুলি পেতে শুরু করেছিল। আর সেখান থেকেই রাজু ঝা ও আবদুল লতিফের নয়া 'জোট' শুরু হয়। 


শনিবার ভরসন্ধ্যায় শক্তিগড়ের কাছে জাতীয় সড়কের উপর একটি ল্যাংচার দোকানের সামনে দাঁড়ায় রাজু ঝাদের সাদা রংয়ের গাড়িটি। ঠিক তখনই পাশ থেকে আসে নীল রংয়ের একটি ইউনি গাড়ি। এরপরই রাজুকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়ে ওই গাড়িটি নিয়ে বাইপাস দিয়ে শক্তিগড় স্টেশনের দিকে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। সেখানে গাড়ি ফেলে পালিয়ে যায় হামলাকারীরা। অপারেশন শেষ হয় মাত্র দেড় থেকে দু'মিনিটেই!


ইতিমধ্যেই খোঁজ মিলেছে খুনে ব্যবহৃত গাড়়ির মালিকের। জানা গিয়েছে, গাড়ির মালিক কলকাতা পাটুলির বাসিন্দা শাশ্বতী চক্রবর্তী। তবে, গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে গাড়িটি বিক্রি করে দেন তিনি। শুধু তাই নয়, ওই সংস্থার এক কর্মী এসে গাড়িটি নিয়েও যান! গাড়ি মালিকের দাবি,  ৩ লক্ষ ৭৯ হাজার টাকায় বিক্রি করেন নীল রংয়ের ব্যালেনো ইউনি গাড়িটি। কিন্তু, তাঁর অ্য়াকাউন্টে জমা পড়ে ৩ লক্ষ ৬৯ হাজার টাকা। এখনও এখনও ১০ হাজার পাওনা। গাড়ির হস্তান্তরের সময়ে বলা হয়েছিল, গাড়ির মালিকের নাম পরিবর্তন করতে ৬ মাস লাগবে।


আরও পড়ুন, 'অনেক তৃণমূল নেতার নাম বলে দেন, মুখ বন্ধ করতেই...', রাজু খুনে বিস্ফোরক দিলীপ



(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)