গরুমারায় গন্ডার চোরাশিকারের ঘটনায় ধৃত ৩
গন্ডারের খড়গটি তার দেহ থেকে কেটে নেওয়া হয়েছিল।
নিজস্ব প্রতিবেদন : গরুমারায় গন্ডার হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার করা হল ৩ জনকে। ধৃত ৩ জন-ই মেটেলি ব্লকের বাসিন্দা। অন্যদিকে এদিন গরুমারা সাউথ রেঞ্জ আধিকারিদের সঙ্গে বৈঠক করলেন স্থানীয় পরিবেশপ্রেমীরা। কোথায় কোথায় টহলদারি বাড়াতে হবে, সেই নিয়েই বৈঠকে আলোচনা হয়।
আরও পড়ুন, সাতসকালে বাস-লরি মুখোমুখি সংঘর্ষ, মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় মৃত ৮
বড়দিনের সকালে গরুমারা ফরেস্ট রেস্ট হাউসের অদূরেই পাওয়া যায় একটি পূর্ণবয়স্ক পুরুষ গন্ডারের মৃতদেহ। গন্ডারের খড়গটি তার দেহ থেকে কেটে নেওয়া হয়েছিল। বনকর্তারা নিশ্চিত ছিল যে এটি চোরাশিকারের ঘটনা। এই প্রথম নয়। উত্তরবঙ্গে চোরাশিকার গত কয়েক বছর ধরেই বনকর্তাদের মাথাব্যথা হয়ে উঠেছে।
আরও পড়ুন, মা বকাবকি করায় পরীক্ষায় অকৃতকার্য মেয়ে নিল চরম পদক্ষেপ
গরুমারা ও জলদাপাড়া দেশের এক শৃঙ্গ গন্ডারের যে চারটি বাসস্থান রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম। গত কয়েকবছরে বার বার এই দুই জঙ্গলে নেমে এসেছে চোরাশিকারির থাবা। ২০১৪ সালে গরুমারায় সাম্প্রতিককালের প্রথম গন্ডার চোরাশিকারের ঘটনা সামনে আসে। ২২ বছর পর সেটাই ছিল গরুমারায় প্রথম চোরাশিকার। এরপর ২০১৭ সালের এপ্রিলে গরুমারাতেই ২টি গন্ডার চোরাশিকারের ঘটনা ঘটে। একই সময়ে জলদাপাড়াতেও একটি গন্ডার চোরাশিকারের ঘটনা সামনে আসে। এর আগে ২০১৫ সালে ৩ টি গন্ডার চোরাশিকার হয় জলদাপাড়ায়।
আরও পড়ুন, দ্বিতীয় স্বামী প্রতুলকে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে দেয়নি অদিতি, প্রকাশ্যে এসে জানালেন ননদ
চোরাশিকার রুখতে গত বছর ডিসেম্বরেই বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত ৩টি কুকুর পাঠানো হয় উত্তরবঙ্গে। কিন্তু তারপরেও চোরাশিকারের ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় পরিবেশপ্রেমীরা এই ঘটনায় বন দফতরের নজরদারির গাফিলতির দিকে আঙুল তুলেছে। বনদফতর আবার নজরদারির অভাবের জন্য কর্মীপদ শূন্য থাকাকেই দায়ি করেছে।