নিজস্ব প্রতিবেদন: বিধানসভা ভোটের ফল প্রকাশের পর মুকুল রায় পুরনো দল তৃণমূলে ফিরে গিয়েছেন। বেসুরো দলের অনেক নেতা। দলের শীর্ষ নেতারাও পরস্পরের বিরুদ্ধে সরব। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য বিজেপিতে বাড়ছে ভাঙনের গুঞ্জন। দলের বনগাঁ সাংগঠনির জেলার একটি জরুরি বৈঠকে তিন বিধায়ক উপস্থিত না থাকায়, জোরদার হয়েছে জল্পনা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জানা গিয়েছে, রবিবার বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে একটি জরুরি সাংগঠনিক বৈঠকে বসেছিলেন নেতারা। রাজ্য নেতৃত্বে পাশাপাশি, বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জেলার নেতারাও। তবে আশ্চর্যজনক ভাবে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না তিন বিধায়ক। আমন্ত্রণ জানালেও বৈঠকে আসেননি বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস,বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক অশোক কীর্তনীয়া এবং গাইঘাটার বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর। কেন গরহাজির তিন বিধায়ক? Zee ২৪ ঘণ্টার তরফে যোগাযোগ করা হলে অশোক কীর্তনীয়া বলেন, 'শারীরিক ভাবে অসুস্থ। তাই বৈঠকে উপস্থিত হতে পারিনি।' সুব্রত ঠাকুর বলেন, 'আগে থেকেই মতুয়া সম্প্রদায়ের সঙ্গে একটি বৈঠক ঠিক থাকায়, সাংগঠনিক বৈঠকে উপস্থিত হতে পারিনি।' যদিও ফোনের কোনও উত্তর দেননি বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস। কেবল এই বৈঠক নয়, ভোটের পরেই বনগাঁ সাংগঠনিক জেলায় হওয়া দিলীপ ঘোষের বৈঠকেও উপস্থিত ছিলেন না বাগদার বিজেপি বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস। এমনকী, দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভও উগরে দিয়েছিলেন তিনি। 


আরও পড়ুন: শুভেন্দুকে সরিয়ে তাম্রলিপ্ত জনকল্যাণ সমিতির নতুন সভাপতি সেচমন্ত্রী সৌমেি


আরও পড়ুন: 'বাবাকে বলো' রুখতে কী ব্যবস্থা? পুলিসের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ দিব্যেন্দুর


রবিবারের সাংগঠনিক  বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির নবদ্বীপ জোনের পর্যবেক্ষক অভিজিৎ দাস, বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার পর্যবেক্ষক প্রসেনজিৎ ভৌমিক। তিন বিধায়কের উপস্থিতি সম্পর্কে জেলা নেতৃত্বে দাবি, বৈঠকের বিষয়ে সকলকেই জানান হয়েছিল। ব্যক্তিগত কারণে আসতে পারেননি তাঁরা। দলকে জানিয়েছিলেন। তবে এই ইস্যুতে গেরুয়া শিবিরকে আক্রমণ করতে ছাড়েনি তৃণমূল। গোষ্ঠীকোন্দলের জন্যই তিন বিধায়ক আসেননি বলে দাবি করেছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা গোপাল শেঠ।  জরুরি সাংগঠনিক বৈঠকে তিন বিধায়কের উপস্থিত না থাকায়, জেলার রাজনৈতিক মহলেও শুরু হয়েছে জোর গুঞ্জন।