নিজস্ব প্রতিবেদন: ভোট পর্ব মিটে গিয়েছে। রাজ্যে বিক্ষিপ্ত ভাবে রাজনৈতিক সংঘর্ষ অব্যহত। শনিবার বিকেলের পর থেকেই তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে উত্তপ্ত উত্তর ২৪ পরগনার ন্যাজাটে। পুলিস সূত্রে খবর, এই সংঘর্ষে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের। আহত হয়েছেন দু’দলের একাধিক কর্মী।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ঘটনার সূত্রপাত শনিবার সন্দেশখালির ন্যাজাটে। জেলা তৃণমূলের সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের অভিযোগ, এলাকায় এ দিন দলের বুথ স্তরের একটি বৈঠক ছিল। এই বৈঠকের পর তৃণমূলের একটি মিছিলে হামলা চালায় স্থানীয় বিজেপি কর্মীরা। তৃণমূল কর্মী কায়ুম মোল্লাকে গুলি করে খুন করে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতিরা। তৃণমূলের এই দাবি উড়িয়ে দিয়ে বিজেপির পাল্টা দাবি, ন্যাজাটে তৃণমূলের সভার পর ওই এলাকার বিজেপি পতাকা খুলতে শুরু করে তৃণমূল কর্মীরা। আর এই পতাকা খোলা নিয়েই দুই দলের কর্মীদের মধ্যে বচসা বাধে। স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, গুলি করে খুন করা হয়েছে তাদের দুই কর্মীকে। বিজেপি সূত্রে খবর, নিহতেরা হলেন, প্রদীপ মণ্ডল (৩৬) এবং সুকান্ত মণ্ডল (২৮)। দেবদাস মণ্ডল নামে এক বিজেপি কর্মী এখনও নিখোঁজ।


আরও পড়ুন: মমতার প্ররোচনায় হিংসা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে হাটগাছির রিপোর্ট দিলেন মুকুল



সংঘর্ষের খবর পেয়ে ওই এলাকায় গেলেও প্রথমে সেখানে ঢুকতে বাধা পায়। পরে বসিরহাট থানা থেকে বিশাল পুলিশ বাহিনী, র‌্যাফ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এই ঘটনায় বিজেপি নেতা মুকুল রায় জানা, গোটা বিষয়টা দিল্লিতে জানানো হচ্ছে। আজ ঘটনাস্থলে যাবে বিজেপির প্রতিনিধি দল। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানান, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি তথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে ঘটনার রিপোর্ট পাঠানো হচ্ছে। জানা গিয়েছে, দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে গোটা ঘটনা সম্পর্কে সবিস্তারে জানাতে সন্দেশখালি থেকে দিল্লি যাচ্ছে বিজেপির একটি প্রতিনিধি দল।