প্রসেনজিৎ মালাকার ও সোমা মাইতি:  গোরুপাচারকাণ্ডে সিবিআইয়ের নজরে অনুব্রতের ৩ অপারেটর। শুধু তাই নয়, আব্দুল লতিফ নামে এক অপারেটরের নাম চার্জশিটেও রয়েছে বলে সূত্রে খবর। কীভাবে কেষ্ট-র সাম্রাজ্য পরিচালনা করতেন তাঁরা? জি ২৪ ঘণ্টার অন্তর্তদন্তে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বোলপুর থেকে কলকাতা, ভায়া আসানসোল। গোরুপাচারকাণ্ডে ফের সিবিআই হেফাজতে অনুব্রত মণ্ডল। এদিন আসানসোলে সিবিআই আদালতে পেশ করা হয় তাঁকে। অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে জামিনের আবেদন করেছিলেন। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন বিচারক। আপাতত ২৪ অগস্ট পর্যন্ত সিবিআইয়ের হেফাজতেই থাকতে হবে কেষ্টকে।


কীভাবে চলত 'অনুব্রতের সাম্রাজ্য'? সিবিআই সূত্রের খবর, তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতির ৩ অপারেটরের সন্ধান পেয়েছেন তদন্তকারী। আব্দুল লতিফ, রাজীব ভট্টাচার্য ও বিদ্যুৎ গায়েন।


অপারেটর- আব্দুল লতিফ
------
ইলামবাজার হাটে গোরুর ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করতেন।
গোরুপাচারকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত এনামূলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন।
প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গলের মাধ্যমে সরাসরি টাকা পৌঁছত অনুব্রতের কাছে।
সিবিআইয়ের চার্জশিটে নাম


অপারেটর-রাজীব ভট্টাচার্য
-----
অনুব্রত মণ্ডলের সমস্ত রাইস মিলের অপারেটর।


অপারেটর-বিদ্যুৎ গায়েন
------
অনুব্রত মণ্ডলের সমস্ত সংস্থার অংশীদার ও অপারেটর।


জানা গিয়েছে, একসময়ে বীরভূমের ছোট চাল ব্য়বসায়ী ছিলেন রাজীব ভট্টাচার্য। অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ট হওয়ার পর বিপুল সম্পত্তি মালিক হন তিনি। অনুব্রত-যোগের অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করেছেন রাজীব। তাঁর দাবি, 'অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে রাজনৈতিক সম্পর্ক। ব্যবসার কোনও সম্পর্ক নেই। ব্যাঙ্ক থেকে লোন নিয়ে রাইস মিল করেছি। যে রটনা রটানো হচ্ছে, তার কোনও ভিত্তি নেই'। জানান, 'সিবিআই থেকে ২ বার ডাকা হয়েছিল। একবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। আর একবার ব্যবসার হিসেবপত্র চাওয়া হয়। সবকিছুই পেশ করেছি'।


আরও পড়ুন: Pratha Chatterjee: জেলে 'ভালো নেই শরীর', অসুস্থ পার্থকে নিয়ে যাওয়া হল SSKM -এ


প্রথম রাইস মিল কেনেন ২০০৯ সালে। এখন তাঁর রাইস মিলের সংখ্য়া ৫। ব্যবসার কাগজপত্র দেখে কি তদন্তকারীরা সন্তুষ্ট? রাজীব বলেন,  'আমাকে এখনও পর্যন্ত সিবিআই কিছু জানাইনি। কিন্তু আগামিদিনে যে আমি ক্লিনচিট না পাই, তাহলে আমার বাচ্চা তো বড় হচ্ছে, তার সম্মানে আঘাত লাগবে। আমি চাইছি, তাড়াতাড়ি যেন বিষয়টির ফয়সালা হয়। কারণ, আমি রাজনীতি করতে এসে রাজনীতি শিকার হতে চাই না'।



গতকাল, শুক্রবার বোলপুরের ভোলে ব্যোম (Bhole bom) রাইস মিলে হানা দিয়েছিলেন সিবিআই আধিকারিকরা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রের খবর, এই রাইস মিলে অনুব্রতের স্ত্রী ও মেয়ের অংশীদারিত্ব রয়েছে। এমনকী, প্রায়ই মিলে আসতে কেষ্ট-কন্যা। রাজীব ভট্টাচার্য বলেন, '২০১৩-১৪ সালে শ্রীগুরু রাইস মিল কিনেছিলেন অনুব্রত। তখন একটু দেখাশোনা করে দিয়েছিলাম। অনুব্রতের মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলই রাইস মিলটা চালাত। ভোলে ব্যোম  রাইস মিলটা সুকন্য়া মণ্ডল ও ছবি মণ্ডলের নামে কেনা হয়েছিল। যখন কেনা হয়, তখন দলিলে সাক্ষী হিসেবে সই করেছিলাম'।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App